নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি নেবে প্যানেল আইনজীবী
Published: 30th, June 2025 GMT
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ (এনপিসিবিএল) প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের এনপিসিবিএলের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারী আইনজীবীকে বাংলাদেশি নাগরিক এবং ঢাকায় বসবাসকারী হতে হবে। অ্যাডভোকেট হিসেবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা, ৩০টি মামলা এককভাবে এবং কমপক্ষে ৫০টি মামলা যৌথভাবে পরিচালনা ও নিষ্পত্তির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, যিনি বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তিনিও আবেদন করতে পারবেন। আপিল বিভাগে এনরোলম্যান্ট থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নিজস্ব মালিকানায় ভাড়াকৃত মানসম্পন্ন চেম্বার এবং ন্যূনতম একজন সহযোগী আইনজীবী, একজন অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও একজন সহযোগী কর্মচারী থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে চেম্বার থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সুযোগ-সুবিধা
এনপিসিবিএলের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির মেয়াদ হবে দুই বছর। প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ থাকাকালীন কোনো প্রকার মাসিক বেতন-ভাতা বা সম্মানী দেওয়া হবে না। এনপিসিবিএলের মামলা পরিচালনা অথবা প্রতিদ্বন্দ্বিতার দায়িত্ব পালন এবং আইনসংক্রান্ত অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য এনপিসিবিএল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত হারে ফি প্রদান করা হবে; ফির বিদ্যমান হার ও শর্ত–সম্পর্কিত অফিস আদেশ এনপিসিবিএলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী আইনজীবীকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্তসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম এনপিসিবিএলের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের স্বাক্ষরিত ও সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পেশাগত সনদ, হালনাগাদ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট সনদ, অভিজ্ঞতাসহ সব সনদপত্রের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। সাক্ষাৎকারের সময় মূল কপি দেখাতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনপিসিবিএল, ই-১৩/ডি, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স (৮ম তলা), আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
আবেদনের শেষ সময়
২২ জুলাই ২০২৫।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প য ন ল আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
সাদাপাথর লুটে জড়িতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
সিলেটের ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারি থেকে সাদাপাথর উত্তোলন ও সরানোয় জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ৬০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে উত্তোলন করা ও সরানো সাদাপাথর সিভিল প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে ভোলাগঞ্জের ওই কোয়ারিস্থলে যত দ্রুত সম্ভব সম্ভাব্য সাত দিনের মধ্যে পুনঃস্থাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ রেখেছেন আদালত।
‘সিলেটের সাদাপাথর গায়েব: প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় নজিরবিহীন লুটপাট’ শিরোনামে গতকাল বুধবার একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে চার আইনজীবী আজ রিটটি করেন। সাড়ে ১২টার দিকে রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল ও অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
আদেশে হাইকোর্ট ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে সাদাপাথর উত্তোলন ও সরানোয় আর্থিক এবং প্রতিবেশ ও পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একজন অধ্যাপককে নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরিবেশসচিব ও খনিজ সম্পদ সচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকা থেকে সাদাপাথর যাতে কেউ উত্তোলন ও সরাতে না পারে, সে জন্য সার্বক্ষণিক (দিনে ও রাতে) তদারকির জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মনিটরিং টিম (তদারক দল) গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স (অগ্রগতি প্রতিবেদন) রিপোর্ট দাখিল করতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিবাদীদের বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ; তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহা. এরশাদুল বারী খন্দকার।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর উত্তোলন ও অপসারণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ওই সাদাপাথর এলাকা সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই এলাকাকে পরিবেশ আইনের ৫ ধারা অনুসারে ‘ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া’ ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং পরিবেশের ক্ষতির সমপরিমাণ অর্থ দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায়ের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ৭ ঘণ্টা আগে