‘অফ দ্য ফুটবল, ফর দ্য ফুটবল, বাই দ্য ফুটবল’—এটি মোশাররফ করিম অভিনীত জনপ্রিয় একটি বাংলা নাটকের নাম। গতকাল রাতে ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজি–ইন্টার মায়ামি ম্যাচের প্রথমার্ধের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাটকটির একটি দৃশ্য অনেকে পোস্ট করেছেন। যেখানে প্রতিপক্ষের অর্ধে একাকী দাঁড়িয়ে বলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় মোশাররফ করিমকে।

নাটক থেকে কেটে নেওয়া এ ক্লিপটি দিয়ে পিএসজির বিপক্ষে মেসির অসহায়ত্বকেই তুলে ধরা হয়েছে। মেসি–ভক্তদের ভালো লাগুক, না লাগুক, দৃশ্যত মেসি গতকাল এমন অসহায়ই ছিলেন। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসির অবস্থা ছিল নাটকের মোশাররফ করিমের মতোই।

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পিএসজি–ইন্টারের ম্যাচটি উত্তাপ ছড়াচ্ছিল আগে থেকেই। এই উত্তাপ যতটা না দুই দলের শক্তি–সামর্থ্য নিয়ে, তার চেয়ে বেশি ছিল মেসিকে ঘিরে। সাবেক ক্লাব পিএসজির সঙ্গে মেসির সম্পর্ক ভালো নয়। ক্লাব ছাড়ার পর পিএসজিকে সমালোচনার তীক্ষ্ণ বাণে বিদ্ধও করেন মেসি। যা এই ম্যাচের আগে পিএসজি–ভক্তদের বিশেষভাবে তাতিয়ে দিয়েছিল। তবে মেসি ও মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনা সরিয়ে রাখলে এ ম্যাচটা যে একপেশে হতে যাচ্ছে, তা অনুমেয়ই ছিল।

আরও পড়ুনমেসিকে হারানোর পর তাঁর জার্সি, শর্টস, জুতা—সবই নিয়ে গেলেন দেম্বেলে২ ঘণ্টা আগে

তারপরও মেসি–ভক্তরা মনের গোপন কোণে হয়তো প্রিয় খেলোয়াড়কে ঘিরে স্বপ্ন বুনছিলেন। এই ম্যাচে অদম্য পিএসজিকে থামাতে কিছু করতে হলে মেসিকেই করতে হতো। কিন্তু গতকাল কয়েক বছর পর ছাইভস্ম থেকে উঠে এসেছে অনেক দিন আগে আড়াল হয়ে যাওয়া একটি লাইন, ‘মেসি একা কী করবেন!’ হ্যাঁ, সত্যি কথা হচ্ছে, বড় ম্যাচে এককভাবে গতিপথ বদলে দেওয়ার সেসব দিন মেসি আরও আগে পেছনে ফেলে এসেছেন। এখন কিছুটা হলেও সতীর্থদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাঁর। যা গতকাল রাতে মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে একেবারেই মেলেনি।

গতকাল প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সই ধরা যাক। বিরতির আগেই ইন্টার মায়ামির জালে বল জড়িয়েছে চারবার। তবে গোল সংখ্যা ম্যাচে মায়ামির হতশ্রী দশাকে ঠিক বোঝাতে পারছে না। ম্যাচে পিএসজির ৭৩ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে মায়ামির দখলে বল ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে পিএসজি ১০টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্য রাখে এবং গোল আদায় করে নেয় এক হালি। অন্যদিকে মায়ামির শট, লক্ষ্যে শট, বড় সুযোগ তৈরি এবং কর্নার সবই ছিল শূন্য।

মেসিকে সান্ত্বনা দিচ্ছে মার্কিনিউস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

দশজন ‘মূর্তি’ নিয়ে মেসি একা কী করবেন

‘অফ দ্য ফুটবল, ফর দ্য ফুটবল, বাই দ্য ফুটবল’—এটি মোশাররফ করিম অভিনীত জনপ্রিয় একটি বাংলা নাটকের নাম। গতকাল রাতে ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজি–ইন্টার মায়ামি ম্যাচের প্রথমার্ধের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাটকটির একটি দৃশ্য অনেকে পোস্ট করেছেন। যেখানে প্রতিপক্ষের অর্ধে একাকী দাঁড়িয়ে বলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় মোশাররফ করিমকে।

নাটক থেকে কেটে নেওয়া এ ক্লিপটি দিয়ে পিএসজির বিপক্ষে মেসির অসহায়ত্বকেই তুলে ধরা হয়েছে। মেসি–ভক্তদের ভালো লাগুক, না লাগুক, দৃশ্যত মেসি গতকাল এমন অসহায়ই ছিলেন। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসির অবস্থা ছিল নাটকের মোশাররফ করিমের মতোই।

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পিএসজি–ইন্টারের ম্যাচটি উত্তাপ ছড়াচ্ছিল আগে থেকেই। এই উত্তাপ যতটা না দুই দলের শক্তি–সামর্থ্য নিয়ে, তার চেয়ে বেশি ছিল মেসিকে ঘিরে। সাবেক ক্লাব পিএসজির সঙ্গে মেসির সম্পর্ক ভালো নয়। ক্লাব ছাড়ার পর পিএসজিকে সমালোচনার তীক্ষ্ণ বাণে বিদ্ধও করেন মেসি। যা এই ম্যাচের আগে পিএসজি–ভক্তদের বিশেষভাবে তাতিয়ে দিয়েছিল। তবে মেসি ও মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনা সরিয়ে রাখলে এ ম্যাচটা যে একপেশে হতে যাচ্ছে, তা অনুমেয়ই ছিল।

আরও পড়ুনমেসিকে হারানোর পর তাঁর জার্সি, শর্টস, জুতা—সবই নিয়ে গেলেন দেম্বেলে২ ঘণ্টা আগে

তারপরও মেসি–ভক্তরা মনের গোপন কোণে হয়তো প্রিয় খেলোয়াড়কে ঘিরে স্বপ্ন বুনছিলেন। এই ম্যাচে অদম্য পিএসজিকে থামাতে কিছু করতে হলে মেসিকেই করতে হতো। কিন্তু গতকাল কয়েক বছর পর ছাইভস্ম থেকে উঠে এসেছে অনেক দিন আগে আড়াল হয়ে যাওয়া একটি লাইন, ‘মেসি একা কী করবেন!’ হ্যাঁ, সত্যি কথা হচ্ছে, বড় ম্যাচে এককভাবে গতিপথ বদলে দেওয়ার সেসব দিন মেসি আরও আগে পেছনে ফেলে এসেছেন। এখন কিছুটা হলেও সতীর্থদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাঁর। যা গতকাল রাতে মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে একেবারেই মেলেনি।

গতকাল প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সই ধরা যাক। বিরতির আগেই ইন্টার মায়ামির জালে বল জড়িয়েছে চারবার। তবে গোল সংখ্যা ম্যাচে মায়ামির হতশ্রী দশাকে ঠিক বোঝাতে পারছে না। ম্যাচে পিএসজির ৭৩ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে মায়ামির দখলে বল ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে পিএসজি ১০টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্য রাখে এবং গোল আদায় করে নেয় এক হালি। অন্যদিকে মায়ামির শট, লক্ষ্যে শট, বড় সুযোগ তৈরি এবং কর্নার সবই ছিল শূন্য।

মেসিকে সান্ত্বনা দিচ্ছে মার্কিনিউস

সম্পর্কিত নিবন্ধ