নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমরা দেখছি নারায়ণগঞ্জে কালো মেঘের ছাপা পড়ছে। কিছু শকুনি বিএনপির উপর ভর করার চেষ্টা করছে। আপনারা দেখেছেন এক ব্যক্তি আমাদের উপর বিষেদগার করেছে। এখন তিনি বিএনপি সাজতে চায়।

আমি একটি বিষয়ে বলতে চাই, উনি বলেছেন আমি মেড ইন নারায়ণগঞ্জ। আসলে উনি তো বিএনপি'রই কেউ না। তিনি এখনো পর্যন্ত বিএনপির সদস্য হতে পারে নাই। উনি মেড ইন নারায়ণগঞ্জ হইলে হোক, তাতে আমাদের কিসের আসে যায়। কিন্তু আমরা বলতে চাই আপনি মেড ইন নারায়ণগঞ্জ না, আপনি মেড ইন আওয়ামী লীগ । 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

সোমবার ( ৩০ জুন ) বিকেল নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন শহীদ নগর অডিটরিয়াম ভবনে ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, আপনার পিতা আওয়ামী লীগ ছিল এটা নারায়ণগঞ্জের সবাই জানে। আপনি মেড ইন সেলিম ওসমান, কারণ আপনি সেলিম ওসমানের দোষর ছিলেন। আপনি মেড ইন আনিসুল হক। সুতরাং এসব কথা বলে মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।

এখন মানুষ অন্তত উদার। আপনি নির্বাচন করবেন করেন। আর বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে হলে আপনারা সবাই জানেন তিনটি ক্যাটাগরি আছে। বিএনপির নমিনেশন পেতে হলে আপনাকে সে তিনটি ক্যাটাগরি সম্পূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে।

আপনি বিগত ১৫টি বছর কোথায় ছিলেন আপনাকে তো রাজপথে দেখা যায়নি। এখন আপনি বসন্তের কোকিল হয়ে মধু আহরণ করতে এসেছেন। মধু আহরণ করা শেষ হয়ে গেলে আপনিও চলে যাবেন। 

তিনি আরও, বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা ইতিপূর্বে এই বাংলাদেশের যে সময় বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কোরাল গ্রাসে বাংলাদেশ নিমজ্জিত ওই সময় আমরা যে সময় আন্দোলন করছিলাম।

তখন এদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্টজনরা তারা তো খারাপ করছে তা আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে আপনারা কি করবেন সেটা জাতির সামনে তুলে ধরেন।

আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাথে কথা বলে বাংলাদেশের দেশের রাষ্ট্রপতি যেহেতু শেখ হাসিনা দুর্বল করেছিল সেটা থেকে উত্তরণের জন্য তারেক রহমান ৩১দফা  দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ঘোষণা করেন।

ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সংস্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে । আর বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে তামাশা করছে। তারা সংস্কারের নামে নির্বাচনকে নিয়ে তালবাহানা করছে। 

মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি শাহজালাল সরদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আর ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন চঞ্চল, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. নূরুল কাদির সোহাগ, সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহিন, সহ-সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সদর থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মুকি ইসলাম, সদস্য সচিব নাসির সরদার, ছাত্রদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম নাঈম, ১৮নং ওয়ার্ড মহিলাদল নেত্রী বন্যা আক্তার, সুমি আক্তার, সালমা আক্তার প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স সদর থ ন সদস য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের হেনস্তার ঘটনায় মামলা

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলা চালিয়ে হেনস্তা করার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। 

হামলার সময় মুকুলের সঙ্গে থাকা মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে রবিবার (২৯ জুন) রাতে ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মৃত আলী মিয়ার ছেলে রাসেল (৪৪), আলী আক্কাস মিয়ার ছেলে কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪), ফজলুর রহমানের ছেলে গোলজার (৪৮), কাশেম মিয়ার ছেলে নাদিম (৩৮), মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫), মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে আকাশ (২৫), মৃত সিরাজ উদ্দিন মিয়ার দুই ছেলে সেলিম (৪৫) ও শামীম (৪২), মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহাজালাল (৪০), মৃত ছালিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে হযরত আলী (৫৬), রফিক মিয়ার ছেলে রাজ মিয়া (৫৫), সাদেক আলী ছেলে সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪), মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে হানিফ (৪২), ফজলুর রহমানের ছেলে আক্তার (৪৫), মিছির আলী ছেলে ইসমাঈল (৫৮), বশির উদ্দিন মিয়ার ছেলে খালেক (৫৮) ও একই এলাকার আলী আক্কাস (৩৬)।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার

আবু সাঈদ হত্যা: ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ 

মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোস্তাকুর রহমান ও আতাউর রহমান মুকুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে আনেন। তারা মুকুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন। মারতে মারতে এক সময় তার পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিড়ে ফেলেন। পরে পুলিশের সহায়তায় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 

ঢাকা/অনিক/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুসময়ের কোকিলরা টাকা দিয়ে মন জয় করার চেষ্টা করছে : টিপু 
  • জুলাই বিপ্লব স্মরণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি
  • জুলাই বিপ্লব স্মরণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি
  • বন্দরে মুকুলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আমির হোসেনের নিন্দা  
  • নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
  • বন্দরে মুকুলের উপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
  • ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি'র প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ 
  • বিএনপি নেতা রিপনের ছোট বোনের মৃত্যুতে সজলের শোক 
  • নারায়ণগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের হেনস্তার ঘটনায় মামলা