বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহান, শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিঠি দিয়ে তাদেরকে আগামী বুধবার ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। বসুন্ধরা ও রূপগঞ্জ এলাকায় জমি এওয়াজ (বিনিময়) করে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও বিশেষ অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো.
চিঠিতে বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। তারিক আহমেদ সিদ্দিককে বুধবার সকাল ১০টায়, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিককে সকাল ১১টায় ও আহমেদ আকবর সোবহানকে দুপুর ১২টায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, আহমেদ আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লকে ছয় বিঘার বেশি জমি তারিক সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের সঙ্গে এওয়াজ করে মোটা অঙ্কের টাকা পাচার করেছেন। একইভাবে তিনি রূপগঞ্জে আরও ছয় বিঘার বেশি জমি তারিক সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের সঙ্গে এওয়াজ করে ১৬০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে দুদকের সাত সদস্যের বিশেষ টিম। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এসএম রাশেদুল হাসান, কেএম মুর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। এই অনুসন্ধান কার্যক্রম তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন, দুদক পরিচালক ড. খান মো. মীজানুল ইসলাম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসি প্রত্যাহার ও ৭ পুলিশ বরখাস্ত
রাজধানীর বাড্ডায় একটি মন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ৩০টি গুলি চুরির ঘটনায় বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডার নিমতলীর শ্রীশ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালীমন্দিরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের জন্য মন্দিরের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে থাকা একটি নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন আনসার সদস্যের পাশ থেকে তাঁদের ব্যবহৃত চারটি ব্যাগ, দুটি মানিব্যাগ ও তিনটি মুঠোফোন চুরি হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাগে শটগানের ৩০টি গুলি ছিল। পরে সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ মণ্ডপের পাশের একটি জায়গা থেকে চুরি হওয়া গুলিগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক এবং পাঁচজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওসি প্রত্যাহারের অফিস আদেশ এখনো পাইনি।’