গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোতে অনলাইন-অফলাইনে যেসব সাংস্কৃতিক তারকারা সরব ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর অন্যতম। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তিনি শুরু থেকেই প্রকাশ করেছেন অকুণ্ঠ সংহতি।

আজ (১ জুলাই) সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হলেন ‘বাংলা গানের যুবরাজ’খ্যাত এই শিল্পী।

এ সংগীতশিল্পী স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “হ্যালো জুলাই। জানি তোমাদের আশ্রয় দরকার নেই, তবুও আমরা আছি তোমাদের পাশে। স্যালুট।’’

আফিস সবসময় জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের প্রেরণা ও ভালোবাসা জানিয়ে আসছেন। গত বছর (২০২৪) ২৮ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে তার সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গেছে।

সেই ছবি আসিফ ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “জুলাই বিপ্লবের দুই সফল অধিনায়ক এসেছিলেন ধন্যবাদ জানাতে জেন জেডের পক্ষ থেকে। তাদের সঙ্গে দেশ, সমাজ, রাজনীতির পাশাপাশি সংগীত আর মিডিয়া নিয়েও গল্প হলো। এরা যথেষ্ট জ্ঞানী এবং স্মার্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ খুব স্ট্রেইটকাট ছেলে, সারজিস আলম মৃদুভাষী।”

তিনি আরও লিখেছিলেন, “আমিও তাদের আমাদের জেড ফোর্সের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছিল দুঃসহ অবস্থা থেকে। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব এনে দিয়েছে আওয়ামী-বাকশালীদের খুনিতন্ত্র থেকে মুক্তি। জেড ফোর্সের নভেম্বর বিপ্লব আর জেন জেডের জুলাই বিপ্লব সমুন্নত থাকুক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে। ভালোবাসা অবিরাম।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা আনতে কী করতে হবে সে বিষয়ে গত বছর আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা-মা হতে পারে, আমরাও দাদা-নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে। কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে! এর মধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়।”

তিনি আরও লিখেছিলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দেলেনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর। অথচ আমি ওই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা।”

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিপ্লবের এক বছর: ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন

‎জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় জেলা ছাত্রদল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঝালকাঠি শাখা ও বিভিন্ন মিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

‎২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনের বার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘গণশক্তির জাগরণে’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনামলের অবসান ঘটে।

মোমবাতি প্রজ্বলনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ইমরান, ‎বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রাইয়ান শাইয়ান।

‎বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার এই নবজাগরণ দেশকে দিয়েছে এক নবযুগের সূচনা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের এক বছর পূর্তিতে আমাদের প্রত্যয়- ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার, জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করা।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিপ্লবের এক বছর: ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আরো ১০ জনের নামে গেজেট
  • নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত কুবি
  • শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই
  • ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • দ্বিতীয় ধাপে জগন্নাথের ৫০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
  • সিটি ব্যাংক ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে
  • ঢাবিতে নবীনদের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের ৪ দাবি
  • জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে সাবেক সিইসি