মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে তাঁকে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। হিটু শেখ শিশুটির বোনের শ্বশুর।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।

ওই মামলায় গত ১৭ মে রায় দেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন হিটু শেখ।

আজ আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়। আদালতে তাঁর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তাঁর অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজন খালাস১৭ মে ২০২৫

শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। গত ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র 

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সাবেক স্ত্রীকে খুনের পর মেয়েকে দলিল বুঝিয়ে দিয়ে আত্মহনন

জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন: প্রধান উপদেষ্টা

গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে চিন্ময়ের জামিন নিয়ে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন ওই ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পরে মোট ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন, যাদের মধ্যে ২১ জন এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে জানায় পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিপন দাস বঁটি ও চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপ দেন, এরপর দলবদ্ধভাবে ১৫-২০ জন মিলে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, চিন্ময় দাসের উসকানি ও নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তাই তাকেও আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালাস চেয়ে আপিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের
  • আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র 
  • মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, অর্থদণ্ড স্থগ
  • পিআর পদ্ধতি ছাড়া জনগণ নির্বাচনকে গ্রহণ করবে না: গোলাম পরওয়ার
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ
  • এনবিআরের বিদ্যমান সংকট নিরসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ৩০০ টাকা
  • এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকারের বিবৃতি
  • আলোচনার মধ্য দিয়ে অচলাবস্থা কাটুক