মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, অর্থদণ্ড স্থগ
Published: 1st, July 2025 GMT
মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। হিটু শেখ শিশুটির বোনের শ্বশুর।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এই মামলায় গত ১৭ মে রায় দেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন হাইকোর্টে আপিল করেন হিটু শেখ। আজ মঙ্গলবার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়। আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
ইশরাকের শপথের সিদ্ধান্ত ইসির ওপর ছেড়ে দিলেন আপিল বিভাগ
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে: ইশরাক
আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হিটু শেখের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তার অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।”
শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। গত ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে, ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানো–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান প্রশ্নে রুল শুনানিতে মতামত জানাতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে শীর্ষস্থানীয় সাত আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সাত আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মনোনীত সাত আইনজীবী হলেন—জয়নুল আবেদীন, প্রবীর নিয়োগী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, শাহদীন মালিক, আহসানুল করিম, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতির শপথ পাঠ করানো-সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের বিধান পুনর্বহালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী গত ১০ মার্চ রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন।
‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন’ বাদ দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর স্পিকারের পড়ানো-সংক্রান্ত বিধান কেন বায়াত্তরের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশোধনীর অংশটুকু কেন বাতিল (শুরু থেকেই) হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।
পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুলের ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিতে আজ আদালত শীর্ষস্থানীয় সাতজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’