এরই মধ্যে জহির ইকবালের সঙ্গে সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। ভিন্ন ধর্মে বিয়ের কারণে এখনও তীর্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে সোনাক্ষীকে। নেটিজেনদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রীর এই বিয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম মন্তব্য করে চলেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ধরে রেখেছিল অভিনেত্রী। কিন্তু এবার আর পারলেন না, রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।

 ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও আজকাল জানিয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা জহির ইকবালকে বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষী নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হয়ে আসছেন। এমনকি পরিবারেও নাকি ভিন্ন ধর্মের এই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু কিছু নিম্নরুচির মানুষ এ নিয়ে মন্তব্য করা ছাড়েনি। আর সেটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এই বলিউড তারকা। 

এ নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেছেন, সে ‘এখনও আমাদের দিকে নিম্নরুচির কিছু মন্তব্য ধেয়ে আসে। সারা দুনিয়ার লোকজন আমাদের ভিন্ন ধর্মের বিয়ে নিয়ে নানা কথা বলেছে। তার মধ্যেও আমি ও জহির নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছি। বাইরের লোকের কাছ থেকে আমাদের মান্যতার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

জহিরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সোনাক্ষী আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের কাছে কী আছে। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, তার পুরোটাই খুব পবিত্র বলে আমরা মনে করি। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, সেটিকে আমরা রক্ষা করি যাবতীয় নেতিবাচকতা এড়িয়ে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে উদযাপন করি, উপভোগ করি, খুব ভালোবাসি এবং তা গর্বের সঙ্গে দুনিয়ার কাছে প্রকাশ করি।’

জহিরের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক থাকার পরে বিয়ে করেন সোনাক্ষী। তাদের সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্তকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে সোনাক্ষী এও বলেছেন, ‘আমরা ঠিক আমাদের মতো করেই বিয়েটা করেছি। ঠিক যেমন চেয়েছিলাম, সেভাবেই বিয়েটা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছাড়াই সেদিন যে মুহূর্তগুলো বন্দি করা হয়েছিল, সেগুলি আমাদের কাছে খুবই বিশেষ রকমের।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন

কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের কাছে বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর রাতে আগুন লাগলেও সেই আগুন সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভালো করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারত যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

চীন সীমান্তের পাশে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত

যদিও ফায়ার সার্ভিসের তরফে সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তারা আগুন নেভাতেই এখনো পর্যন্ত ব্যস্ত। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন