সাত বছর পর সাবেক এসপি, ইউএনও ও ওসির নামে মামলা
Published: 2nd, July 2025 GMT
মাগুরায় ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে মিথ্যা মামলায় আটক করে নির্যাতন এবং বিনা বিচারে ১৬৮ দিন কারাবন্দি রাখার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি), ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রায় সাত বছর পর সোমবার মাগুরা সদর আমলি আদালতে অভিযোগটি করেন ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমন।
আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো.
বাদী পক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। আসামিরা হলেন– মাগুরার তৎকালীন এসপি খান মো. রেজোয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান ও বিশ্বজিত, কনস্টেবল পার্থ রায় এবং মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী।
বাদী ফয়সাল রুমনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৫ ও ১৩ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ১৮ আগস্ট তৎকালীন ইউএনও আবু সুফিয়ান তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ আটকের পর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে রুমনের স্পাইনাল কর্ড এবং মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। ঘটনার পরদিন তাঁর নামে সদর থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে রুমনকে ১৬৮ দিন বিনা বিচারে কারাবন্দি রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া মিথ্যা মামলার কারণে তাঁর ৫০ কোটি টাকার মানহানির ঘটনা ঘটেছে। বাদী মামলাটিকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে বিচার চেয়েছেন।
আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নির্যাতন করায় বাদী সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। তিনি সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন। তাই ৩০ জুন মামলাটি করলেও আদালতের বিচারক সব দিক বিবেচনা শেষে মঙ্গলবার তা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে