গুমোট

সবল পাথরে পিছলে যাওয়া আলো

পায়ের তলায় মুচড়ে ওঠার পরে

আবার ছোটার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে

গোল হয়ে বসে পোষা বিড়ালের মতো

গ্যালারিবিহীন রাতের মঞ্চ থেকে

শিস দিয়ে ওঠে স্বপ্নদৃশ্যগুলো

কিন্তু সেখানে লিফট ছিল না বলে

পাঠহীন থাকে বহুতল খাবনামা

ফলত সেসব স্বপনের ছাঁদগুলো

অদেখা আলোর চিন্তায় পড়ে থাকে

ভাবে যদি-বা বাতাস থাকত কিছু

তবে তো কিছুটা বিদ্যুৎ চমকাত

অথচ পথেরা দালানের মতো চুপ

আলোর অদেখা মেনেই নিয়েছে আর

ঢেউহীন পথে জমাট ধূলার সর

মধ্যযামের বাতাস অতৎপর।

বুদ্ধির টব

বুদ্ধির টবে জেগে ওঠা ফুল কত দূর যাবে আর

বনসাই ঘ্রাণ কত আর পারে ছড়াতে বিস্তার

বোতলবন্দী একার বিলাপ থাকছে না আর খাপে

গন্ধরাজের দল অহেতুক শুধু শিশি হয়ে পড়ে থাকে

অবশ্য এই ছায়ার কোলাজ মিষ্টিই লাগে খুব

খুঁজে হাঁটুজল বুদ্ধির দল দিতেছে দারুণ ডুব

প্রভাতী প্রেতের সাথে

ক্রমশ রোমশ রাতে

কে যে কেন একা

হাঁটিতেছে শুধু ফুটপাতে

অহেতু পুরাই

কোনো সেতু নাই তার

কোনো কাজে, তবু লাজে

তার চোখ দুই হয় না

একেবারে জড়সড় কোনো

কোনো ঢেউ নাই ভাবনাচারণে

কী ভাবে সে, নাকি ভাবে না

তাহাদের মতো, তেনাদের আদেশব্রতে

যে–মতো চলেই তারা ভাবনারহিত

ক্রমশ রোমশ প্রেত হাঁটে

পাড়াতে ফুটপাতে

অরাত প্রভাতে

কেন কে জানে

কী করে এল সে প্রভাতে

যা কিনা আসলে সকাল

অথচ প্রেতেরা সৌরের অপ্রেম

তবু সে কেন যে এল

অথচ উল্টানো পদহীন

কেন কে বা জানে

যখন সকাল হতে চাওয়ায়

কোনো খাদহীন হয়ে

ঘাম মোছে প্রাক্‌রজনীর

গোমড়া খবর

বহু সাধনায়,

নিজেরে করেছে সে অহেতুক থতমত

এসেছে সে তেড়েফুঁড়ে

যেন কোনো এক

জরুরি মুরারি সে

হতেছে প্রায়োগিক বুদ্ধির খনি এক

যেমন কালার ধরন

অথচ এলেই তার

বাজে সাইরেন, নিয়ে বোধোদয়

বলে অকালি চাঁদ

তুমি তা–ই হও, যাহা নিশিগত

তাই পেছন ফেরা

তুমি কেমনে যে

করো দাবি বৃথা

বলে দিচ্ছ নিজে সুদূর পথের হদিস

অথচ কদাচ ওই

জিবে উচ্চারণে

কেউ শুনেছে কি

আসু দিনের হদিস

তব ওল্টানো পা

কত চকমকিয়ে

দিচ্ছে হকচকিয়ে

শত নতুন কথার

ভেকে যায় বকে খুব

গত দিন ও রাতের বাসি কচকচালি

যেন হ্যাপেনিংহীন গোটা বিশ্ব বসে

চায়ের টেবিল

তব সৌর সময় কী যে অন্ধকারময়

কেন চ্যাপটা পায়ে

হাঁটো গড়গড়িয়ে

প্রাতে ফুটপাতে বা নিশি ভোর করা রাতে?

সম্প্রীতি বাসনা

চলো চলো, হাত ধুয়ে নাও ঝটপট

সবটা সাবাড় এখন

ভাঙা হলো, ধাওয়া হলো

হলো ভাইরাল ধর্ষণ

আগুনের চক হলো

রাগুনের ধক হলো

হলো সব আশ্বাসী বর্ষণ

ঘুরে ঘুরে দুলছে হাওয়া

চৌকোণা ছক্কার দাপট

ঘুরে ঘুরে উঠছে বমন

যেন সাগরের একরোখা ঢেউ

পায়ের মাপ থেকে দূরে

ছায়ার গ্রাম থেকে দূরে

যখন চেনারা সাজে অন্য কেউ

চলো চলো মুখে টানো স্বস্তির হাসি

এসব কিছুই নয়

ধ্যাৎ ধ্যাৎ! হয় নাকি কিছু আর!

মরা লোক, সম্প্রীতি পুরোটাই হোক্স

এসবের ধার থেকে

উঠে এসো তরা করে

কত দিন থাকবে আগলে ও জোকস

ভাবনার খ্যাতা পুড়ে মিঠা করে হাসো তো

কাগজের লোকেদের দেখে কিছু শেখোনি

অহেতুক উদ্বেগ ক্ষতিকর, ক্ষতিকর,

তাই এসো গোল হয়ে রেখে সব ভাবনা

ব্ল্যাকআউট খবরের আখড়ার

সবগুলো মুখ থেকে, ঘুম থেকে

চটে যাওয়া ফুল থেকে

রাষ্ট্রের ডিম থেকে

কী দারুণ আসছে সম্প্রীতি বাসনা

বিলীয়মান

ছাউনিতে কেউ নেই আর

লংমার্চ করে চলে গেছে বৃষ্টিও

ফালি হয়ে পড়ে আছে শুধু

কঙ্কালসার রোদ, নিতান্ত ব্যঞ্জনাহীন

ছবি হয়ে গেছে, যা ছবি না তা–ও

নদীদের নাভি থেকে উঠে আসা রঙে

ভরে গেছে তাবৎ গ্যালারি

আর, ও আকাশ চলে গেছে পৃথিবী প্রদক্ষিণে

পাটাতন একবারে ফাঁকা

এমনকি সেই নাবিকের মতো লোক

অভিনয় ভুলে ডুবসাঁতারেই বুঁদ

পাটাতনে তার ফোঁপাচ্ছে কস্টিউম

গানগুলো সব মঞ্চের দিকে গিয়ে

সিঁড়ি খুঁজে খুঁজে বোকা বনে বসে আছে

এদিকে আকাশ কোরাস গাইতে গিয়ে

হাঁপানির টানে ফাঁকা শয্যাতে স্থির

ছাউনির নিচে সমস্ত দিন গুঁজে

রাত বেরিয়েছে পাড়া বেড়ানোর কাজে

সেদিকে তাকিয়ে ফালি হওয়া রোদ্দুর

কষ্ট ভুলছে বিচ্ছেদি কারুকাজে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ