খুঁজে হাঁটুজল বুদ্ধির দল দিতেছে দারুণ ডুব
Published: 23rd, July 2025 GMT
গুমোট
সবল পাথরে পিছলে যাওয়া আলো
পায়ের তলায় মুচড়ে ওঠার পরে
আবার ছোটার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে
গোল হয়ে বসে পোষা বিড়ালের মতো
গ্যালারিবিহীন রাতের মঞ্চ থেকে
শিস দিয়ে ওঠে স্বপ্নদৃশ্যগুলো
কিন্তু সেখানে লিফট ছিল না বলে
পাঠহীন থাকে বহুতল খাবনামা
ফলত সেসব স্বপনের ছাঁদগুলো
অদেখা আলোর চিন্তায় পড়ে থাকে
ভাবে যদি-বা বাতাস থাকত কিছু
তবে তো কিছুটা বিদ্যুৎ চমকাত
অথচ পথেরা দালানের মতো চুপ
আলোর অদেখা মেনেই নিয়েছে আর
ঢেউহীন পথে জমাট ধূলার সর
মধ্যযামের বাতাস অতৎপর।
বুদ্ধির টববুদ্ধির টবে জেগে ওঠা ফুল কত দূর যাবে আর
বনসাই ঘ্রাণ কত আর পারে ছড়াতে বিস্তার
বোতলবন্দী একার বিলাপ থাকছে না আর খাপে
গন্ধরাজের দল অহেতুক শুধু শিশি হয়ে পড়ে থাকে
অবশ্য এই ছায়ার কোলাজ মিষ্টিই লাগে খুব
খুঁজে হাঁটুজল বুদ্ধির দল দিতেছে দারুণ ডুব
প্রভাতী প্রেতের সাথেক্রমশ রোমশ রাতে
কে যে কেন একা
হাঁটিতেছে শুধু ফুটপাতে
অহেতু পুরাই
কোনো সেতু নাই তার
কোনো কাজে, তবু লাজে
তার চোখ দুই হয় না
একেবারে জড়সড় কোনো
কোনো ঢেউ নাই ভাবনাচারণে
কী ভাবে সে, নাকি ভাবে না
তাহাদের মতো, তেনাদের আদেশব্রতে
যে–মতো চলেই তারা ভাবনারহিত
ক্রমশ রোমশ প্রেত হাঁটে
পাড়াতে ফুটপাতে
অরাত প্রভাতে
কেন কে জানে
কী করে এল সে প্রভাতে
যা কিনা আসলে সকাল
অথচ প্রেতেরা সৌরের অপ্রেম
তবু সে কেন যে এল
অথচ উল্টানো পদহীন
কেন কে বা জানে
যখন সকাল হতে চাওয়ায়
কোনো খাদহীন হয়ে
ঘাম মোছে প্রাক্রজনীর
গোমড়া খবর
বহু সাধনায়,
নিজেরে করেছে সে অহেতুক থতমত
এসেছে সে তেড়েফুঁড়ে
যেন কোনো এক
জরুরি মুরারি সে
হতেছে প্রায়োগিক বুদ্ধির খনি এক
যেমন কালার ধরন
অথচ এলেই তার
বাজে সাইরেন, নিয়ে বোধোদয়
বলে অকালি চাঁদ
তুমি তা–ই হও, যাহা নিশিগত
তাই পেছন ফেরা
তুমি কেমনে যে
করো দাবি বৃথা
বলে দিচ্ছ নিজে সুদূর পথের হদিস
অথচ কদাচ ওই
জিবে উচ্চারণে
কেউ শুনেছে কি
আসু দিনের হদিস
তব ওল্টানো পা
কত চকমকিয়ে
দিচ্ছে হকচকিয়ে
শত নতুন কথার
ভেকে যায় বকে খুব
গত দিন ও রাতের বাসি কচকচালি
যেন হ্যাপেনিংহীন গোটা বিশ্ব বসে
চায়ের টেবিল
তব সৌর সময় কী যে অন্ধকারময়
কেন চ্যাপটা পায়ে
হাঁটো গড়গড়িয়ে
প্রাতে ফুটপাতে বা নিশি ভোর করা রাতে?
সম্প্রীতি বাসনাচলো চলো, হাত ধুয়ে নাও ঝটপট
সবটা সাবাড় এখন
ভাঙা হলো, ধাওয়া হলো
হলো ভাইরাল ধর্ষণ
আগুনের চক হলো
রাগুনের ধক হলো
হলো সব আশ্বাসী বর্ষণ
ঘুরে ঘুরে দুলছে হাওয়া
চৌকোণা ছক্কার দাপট
ঘুরে ঘুরে উঠছে বমন
যেন সাগরের একরোখা ঢেউ
পায়ের মাপ থেকে দূরে
ছায়ার গ্রাম থেকে দূরে
যখন চেনারা সাজে অন্য কেউ
চলো চলো মুখে টানো স্বস্তির হাসি
এসব কিছুই নয়
ধ্যাৎ ধ্যাৎ! হয় নাকি কিছু আর!
মরা লোক, সম্প্রীতি পুরোটাই হোক্স
এসবের ধার থেকে
উঠে এসো তরা করে
কত দিন থাকবে আগলে ও জোকস
ভাবনার খ্যাতা পুড়ে মিঠা করে হাসো তো
কাগজের লোকেদের দেখে কিছু শেখোনি
অহেতুক উদ্বেগ ক্ষতিকর, ক্ষতিকর,
তাই এসো গোল হয়ে রেখে সব ভাবনা
ব্ল্যাকআউট খবরের আখড়ার
সবগুলো মুখ থেকে, ঘুম থেকে
চটে যাওয়া ফুল থেকে
রাষ্ট্রের ডিম থেকে
কী দারুণ আসছে সম্প্রীতি বাসনা
বিলীয়মানছাউনিতে কেউ নেই আর
লংমার্চ করে চলে গেছে বৃষ্টিও
ফালি হয়ে পড়ে আছে শুধু
কঙ্কালসার রোদ, নিতান্ত ব্যঞ্জনাহীন
ছবি হয়ে গেছে, যা ছবি না তা–ও
নদীদের নাভি থেকে উঠে আসা রঙে
ভরে গেছে তাবৎ গ্যালারি
আর, ও আকাশ চলে গেছে পৃথিবী প্রদক্ষিণে
পাটাতন একবারে ফাঁকা
এমনকি সেই নাবিকের মতো লোক
অভিনয় ভুলে ডুবসাঁতারেই বুঁদ
পাটাতনে তার ফোঁপাচ্ছে কস্টিউম
গানগুলো সব মঞ্চের দিকে গিয়ে
সিঁড়ি খুঁজে খুঁজে বোকা বনে বসে আছে
এদিকে আকাশ কোরাস গাইতে গিয়ে
হাঁপানির টানে ফাঁকা শয্যাতে স্থির
ছাউনির নিচে সমস্ত দিন গুঁজে
রাত বেরিয়েছে পাড়া বেড়ানোর কাজে
সেদিকে তাকিয়ে ফালি হওয়া রোদ্দুর
কষ্ট ভুলছে বিচ্ছেদি কারুকাজে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তথ্য, আসন ১২০০
ঢাকা কলেজে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৫-২৬ অনুযায়ী একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় ছাত্র ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইআইআইএন ১০৭৯৭৭।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা—যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিচের উল্লিখিত বিভাগ অনুসারে ন্যূনতম জিপিএপ্রাপ্ত ছাত্ররা ভর্তির আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
১. বিজ্ঞান বিভাগ: বাংলা ভার্সন- ন্যূনতম জিপিএ ৫.০০,
২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: বাংলা ভার্সন- ন্যূনতম জিপিএ ৪.৭৫,
৩. মানবিক বিভাগ: বাংলা ভার্সন- ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০।
আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি২৬ জুলাই ২০২৫আসনসংখ্যাবিজ্ঞানে ৯০০টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ১৫০টি এবং মানবিক ১৫০টি আসনে ছাত্র ভর্তি করা হবে।
ভর্তি ও কলেজ–সংক্রান্ত তথ্য১. একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩০ জুলাই থেকে আগামী ১১ আগস্ট তারিখের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
২. অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা।
৩. এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫৪. ভর্তির ফলাফল তিনটি পর্যায়ে বোর্ড কর্তৃক প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
৫. একজন শিক্ষার্থী তার মেধা ও পছন্দ ক্রমানুযায়ী একটি মাত্র কলেজের জন্য নির্বাচিত হবে।
৬. নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে নিজেই অনলাইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ৩৩৫ টাকা জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।
* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি২৯ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৩০ জুলাই ২০২৫