জাবিতে ১৭ হলে ছাত্রদলের কমিটি, বাগছাসের উদ্বেগ
Published: 9th, August 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১৭টি আবাসিক হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে হলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, অবৈধভাবে সিট দখল, গণরুম, গেস্টরুম এবং র্যাগিং কালচারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) জাবি শাখা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত পৌনে নয়টায় বটতলা এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাগছাস নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ প্রতিটি ক্যাম্পাস ও হলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, অবৈধভাবে সিট দখল, গণরুম, গেস্টরুম এবং র্যাগিং কালচারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রাণের চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে গণরুম, গেস্টরুম এবং র্যাগিং কালচারকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, “ছাত্রদল হলগুলোতে রাজনৈতিক কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের চাওয়াকে উপেক্ষা করেছে। এর ফলে পুনরায় গণরুম, গেস্টরুম ও র্যাগিং কালচার ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ আরও উল্লেখ করে, দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী আজ ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক কাঠামোর সম্পূর্ণ অবসান চায়। এমন সময়ে ছাত্রদলের এই সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে নতুন রূপ দেওয়ারই প্রচেষ্টা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল এবং বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অবিচল থেকেছে। এমন একটি সংগঠন আজ ফ্যাসিবাদী ধাঁচের রাজনীতি ফেরত আনার চেষ্টা করছে, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি সংগঠন ও শিক্ষার্থীকে হতাশ করেছে।
সেসময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সচেতন শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে এই ‘অপরাজনীতি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায় বাগছাস নেতারা।
ঢাকা/আহসান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বব দ য ল ব শ বব দ য ছ ত রদল র জন ত গণর ম স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যারা জুলাই আন্দোলন ও গ্রাফিতির বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এমনকি জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনাদের মনে কখনো সন্দেহ রাখবেন না যে, এই গ্রাফিতি থাকবে না। সামনে নির্বাচিত সরকার এলেও এই গ্রাফিতি না রাখার কারণ নেই।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরালে ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামের এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ প্রজন্মকে আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে— জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন ছিল না, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই আন্দোলন জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহামিদুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম প্রমুখ।
ঢাকা/রতন/রাজীব