আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ (লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির সুরা সদস্য এবং নড়াইল জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা হান্নান সরদারের নাম ঘোষণা করেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকালে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন নড়াইল-২ আসনের খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা হান্নান সরদারের নাম ঘোষনা করেন।

জানা গেছে, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড থেকে সারাদেশের সকল সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বোর্ডের সদস্যদের মতামতের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নড়াইল-২ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হান্নান সরদারের নাম ঘোষণা করা হলো।

মাওলানা হান্নান সরদার বলেন, “নড়াইল-লোহাগড়ার জনগণ যদি আমাদেরকে নির্বাচিত করে তাহলে ইসলামী আদর্শভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”

ঢাকা/শরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ন ন ন সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

যে সিনেমা বাঁচিয়েছিলো ছয় জনের প্রাণ

পপ সংস্কৃতিতে পালানোর গল্পগুলো অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। সেটা হোক গল্প, উপন্যাস, নাটক কিংবা সিনেমা। পলায়নের গল্পগুলো রোমাঞ্চ, সাহস এবং সিনেমাটিক স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে থাকে।  এসব গল্প মানুষকে উৎসাহিত করে। আর সেই পলায়নের গল্পে যদি বাস্তব জীবনের উপাদান থাকে, তাহলে গল্পটি আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। 

দিনটি ছিলো ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর। অর্থাৎ ৪৬ বছর আগে, ইরানের উত্তেজিত জনতা তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিললেন। প্রচুর ভাঙচুর চালিয়েছিলেন এবং কূটনীতিক ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৬৬ জন আমেরিকানকে জিম্মি করেছিলো। ওইদিন আতঙ্কিত আমেরিকানরা গোপন সরকারি নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলে, প্রাণ বাঁচাতে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করেছিলেন। আর ইরানের রাস্তাঘাটে অবস্থান নিয়েছিলেন বিপ্লবীরা। তারা আমেরিকানদের খুঁজছিলেন। যাকে পাচ্ছিলেন তাকেই গুলি করে  হত্যা করছিলেন। 

আরো পড়ুন:

বিকেলের নাস্তায় থাকুক ‘মিষ্টি কুমড়ার স্যুপ’

মৃত্যুর প্রতীক ‘পপি ফুল’

দূতাবাসে যারা আটকে পড়েন তাদের মধ্যে ছ’জন ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে সক্ষম হন। পরে এ রবার্ট অ্যান্ডার্স নামের এক কূটনীতিক কানাডার কূটনীতিক জন শিয়ারডাউনকে সাহায্যের জন্য ফোন করেন। পালিয়ে আসা দলটির মধ্যে চার জন শিয়ারডাউনের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকেন। বাকি দু’জনকে কানাডার রাষ্ট্রদূত কেনেথ টেলরের বাসভবনে রাখা হয়েছিলএই খবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছোনোর পর ইরানে পণবন্দি মার্কিন কূটনীতিবিদদের মুক্ত করতে বিপজ্জনক অপারেশন চালায় সিআইএ। তবে তারাও মার্কিন নাগরিকদের বার করে আনার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী ছিল না। ইতিহাসে এই উদ্ধার অভিযান ‘ইরান হস্টেজ ক্রাইসিস’ হিসাবে পরিচিত।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিনিধি এবং তেহরানে থাকা অন্যান্য দেশের কূটনীতিকেরা পণবন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল রামসে ক্লার্কের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলও আলোচনায় বসতে চেয়েছিল। ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। তাকেও ইরানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

শেষে দূতাবাস আক্রমণের দিন যে ছয় জন প্রাণ হাতে করে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন তাদেরও নিরাপদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইএ-কে। শেষতক কূটনীতিবিদদের উদ্ধার করতে জীবন বাজি রেখে অগ্নিগর্ভ তেহরানে ঝাঁপ দেন সিআইয়ের গোপন উদ্ধার অভিযানের বিশেষজ্ঞ টনি।

সিনেমার শুটিংয়ের আড়ালে টনি উদ্ধার করেছিলেন সহ-নাগরিকদের। সিআইয়ের সদর দফতরে বসে ক্ষুরধার মস্তিষ্কের টনি ছকে ফেলেন অভিনব পরিকল্পনা।এই অপারেশনের সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘কানাডিয়ান ক্যাপার’।

দুইমাসেরও বেশি সময় ধরে ছয়জনকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলে। ১৯৮০ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল সেই দিন। সকালে, তারা তেহরান বিমানবন্দরে পৌঁছান। সামনে ইরানি নিরাপত্তার কঠোর তল্লাশি, শেষ মুহূর্তে এক অফিসার প্রশ্ন করেন, ‘সিনেমার নাম কী?’ টনি হেসে জবাব দেন, ‘আর্গো’। তেহরানের বিমানবন্দরে শেষ মুহূর্তের ছাড়পত্র পান টনি মেন্ডেজ এবং ছয় কূটনীতিক। কানাডিয়ান সরকারের সহায়তায় ইরান থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হন তারা। ভুয়া কানাডিয়ান পাসপোর্টকে হাতিয়ার করে নির্বিঘ্নে শত্রুশিবির ত্যাগ করেন টনি-সহ ছয় কূটনীতিক।

সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ