এই অবেলায়
ফুলের মাঝখানে মৃত মথ থেমে আছে
আচ্ছন্নতা, প্ররোচনা
এই দুপুর, বিকেল কিংবা সন্ধ্যাও
শিমুল একগুচ্ছ
ফুলেদের ঘুরবার অতীত জানা নেই
যেন-বা নিয়তি বিশেষ নয়
নয় হারানো প্রণয়মায়া শুধুই ফিরে পাওয়ার ভেতর
আরোহণ ও বিরাজনে কী নিখুঁত ছাপা ভেতর!
এই মায়া মন ভরে লিখতে চাই
অভ্যন্তর জগতের সব
মেঘমন্দ্র কোনো পুষ্পরেণু নয়
আমি তবে ভ্রমণে কেন রেখে আসি
সুনীল উৎকণ্ঠা আমার—
যে উৎকণ্ঠা আমাকে দৃশ্যের ব্যবধান শিখিয়েছিল
শিখিয়েছিল একমাত্র চোখই তো জলের সন্ধিস্থল
চোখ তারে কোরো না অনুসরণ
ভাবো সে-ও তো
পাতালের দিকে উড়ে চলা পাখি সুপ্রধান
একটি ফড়িং খেলা করে
সেখানে চোখ উড়ে গেল অনর্থক
অথচ গতি তারও নিচে থাকতে পারে
এক নিরাকার পরম সত্তার
দেব-দেবীদের পৃথিবীতে
ও আত্মা আমার; তুমি কি তবে
শাশ্বত ও চৈতন্যের কারণ
কেননা সংকেতের আদৃত জুড়ে ছড়িয়েছে যত
অন্তিমের বেদনাব্যস্ত বাতাস
লিপ্ত ধূলির পথ
অবসন্ন রথের রজনী
যেখানে কোনো জিজ্ঞাসা নেই
নেই সূর্যাস্তের নিচে চাপা পড়া কোনো ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ
তা বলাই বাহুল্য—বিচ্ছেদের ফুলগুলো বড় শীর্ণ
মুথাঘাসে একদল সান্ধ্য জোনাক
পৃথিবীর প্রথম বাতিটি জ্বালিয়ে দিয়েছিল
শুধু তারার আলোর পূর্বাভাসকে উসকে দিতে
কী তাহাদের বিস্ময় জানা হয় নাই
আমি গাছে হেলান দিয়ে সম্পৃক্ত হতে গিয়ে জেনেছি
মানুষের মতো গাছেদের বেঁচে থাকার জীবনে
কোনো প্রেমিক–প্রেমিকা নাই
চন্দ্র—প্রতাপে যদিও জেনে গেছি
প্রেম একটা ফুলের সাথে একটা প্রজাপতির
নৈমিত্তিক ঘটনা
তবে আমার কী সাধ্য আছে
জমানো দ্বিধার কাছে স্বপ্ন–চাওয়া
যতটা সম্ভব মুছে যাক বিরহের সুর
ফুলেদের ভাষায় বিরহ হয়তো দৈব্য আঁধারে
বাতাসনির্ভর এক সফর—
সেই সফরে পরাগায়নের গান
না হয় থাকুক একটি একলিঙ্গ ফুলের কাছে
কিছুটা সম্মোহন
যে হারায় নিয়ে দ্বৈতবাদ
তার কী কথা! মৃত্যুমুখী সেই তো সুন্দর
এই যে ভাবছি, বলেই
বিম্বাধর ফল সুন্দর, আছে ব্যথা
কিন্তু আমি বলব অনেক গল্প জমে আছে
কামিনীগাছটার বিচ্যুত সন্ধ্যায়
শূন্যতায় কেবল শূন্যতা
কথা আকীর্ণ হয়ে যায় অলৌকিকতায়
আজ বাতাসে অ্যালকোহল
দীর্ঘ পথ উৎস আর ধারা
দুপুর তাই এমন
চঞ্চল পাতারাও মন ভরে বেড়ে উঠছে
যেন সমূহ দ্বার নীত সম্ভাষণ
যতটা দাবি করছি, ইচ্ছেরা তত
অপ্রত্যাশিত থেকে যাচ্ছে
থেকে থেকে মনে পড়ছে
আমার জন্য কী তবে স্মৃতিই যথেষ্ট
সাক্ষাতের দুনিয়ায় আল্লাহ মেহেরবান
মিথ ও মৃত্যুর মধুবন
অন্তঃসুরে চেনা সব গান
ঘুমের ভেতর এত আকর্ষিক হয় কেন?
দুচোখ বন্ধ এই দেহ জমিন
একটি মেরুন নক্ষত্রের চাহনিতে
আকাশে বাড়িয়ে রেখেছি হাত
যদি মেঘ হতো স্বর্ণলতা, নিদেনপক্ষে বাড়াতাম বুক
একটুর জন্য খুব কাছে যাবার অপেক্ষায়
আমি তার দায় এড়াতাম
আজ ফিরে যেতে থামি, দেখি
মেঘ বাড়িয়েছে শাবক এক হাত
মানুষ কেন সমুদ্রে যায়?
মানুষের আছে নাকি অবসর
চাঁদের আলোয় জোয়ার-ভাটায়
দূরে যে সুন্দরের কুঞ্জন
জলের নকশা আর অথির বিন্যাস
সেখানে পৃথিবীর কবে থেকে
অরুণ মাঝিরা জামার ভেতর আঁকতে শিখেছিল
কম্পন রেখার অভিজ্ঞান
যদি ধরি উওলোফ ভাষা
ভাষার ভেতর ততটা অতীত বর্তমান নেই
মেঘের ছায়া এসে থেমে আছে অবিচলতায়
এইসব বিবশ দুপুর
পাতার হরণে উড়োপাতাদের শ্রদ্ধা অশেষ
হাতের সিগারেট পুড়ে যায়
এতক্ষণে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছ তুমি
ভাবছ দুপুর দু প্রহর
তোমার হাতঘড়ি হৃদয়ের পাশে রেখে
কোন রাগ মুছে যায়
কোন তারা নিভে যায় সুষুপ্ততায়
নিদ্রা ভেঙে যদি দেখি ক্রান্তদর্শী চাঁদ
হে আশ্চর্য দরবার
মধ্যরাত চোখ তুলে তাকানো যাবে না
কারণ করুণানির্ভর
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলের সংশয়
এই অবেলায়
ফুলের মাঝখানে মৃত মথ থেমে আছে
আচ্ছন্নতা, প্ররোচনা
এই দুপুর, বিকেল কিংবা সন্ধ্যাও
শিমুল একগুচ্ছ
ফুলেদের ঘুরবার অতীত জানা নেই
যেন-বা নিয়তি বিশেষ নয়
নয় হারানো প্রণয়মায়া শুধুই ফিরে পাওয়ার ভেতর
আরোহণ ও বিরাজনে কী নিখুঁত ছাপা ভেতর!
এই মায়া মন ভরে লিখতে চাই
অভ্যন্তর জগতের সব
মেঘমন্দ্র কোনো পুষ্পরেণু নয়
আমি তবে ভ্রমণে কেন রেখে আসি
সুনীল উৎকণ্ঠা আমার—
যে উৎকণ্ঠা আমাকে দৃশ্যের ব্যবধান শিখিয়েছিল
শিখিয়েছিল একমাত্র চোখই তো জলের সন্ধিস্থল
চোখ তারে কোরো না অনুসরণ
ভাবো সে-ও তো
পাতালের দিকে উড়ে চলা পাখি সুপ্রধান
একটি ফড়িং খেলা করে
সেখানে চোখ উড়ে গেল অনর্থক
অথচ গতি তারও নিচে থাকতে পারে
এক নিরাকার পরম সত্তার
দেব-দেবীদের পৃথিবীতে
ও আত্মা আমার; তুমি কি তবে
শাশ্বত ও চৈতন্যের কারণ
কেননা সংকেতের আদৃত জুড়ে ছড়িয়েছে যত
অন্তিমের বেদনাব্যস্ত বাতাস
লিপ্ত ধূলির পথ
অবসন্ন রথের রজনী
যেখানে কোনো জিজ্ঞাসা নেই
নেই সূর্যাস্তের নিচে চাপা পড়া কোনো ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ
তা বলাই বাহুল্য—বিচ্ছেদের ফুলগুলো বড় শীর্ণ
মুথাঘাসে একদল সান্ধ্য জোনাক
পৃথিবীর প্রথম বাতিটি জ্বালিয়ে দিয়েছিল
শুধু তারার আলোর পূর্বাভাসকে উসকে দিতে
কী তাহাদের বিস্ময় জানা হয় নাই
আমি গাছে হেলান দিয়ে সম্পৃক্ত হতে গিয়ে জেনেছি
মানুষের মতো গাছেদের বেঁচে থাকার জীবনে
কোনো প্রেমিক–প্রেমিকা নাই
চন্দ্র—প্রতাপে যদিও জেনে গেছি
প্রেম একটা ফুলের সাথে একটা প্রজাপতির
নৈমিত্তিক ঘটনা
তবে আমার কী সাধ্য আছে
জমানো দ্বিধার কাছে স্বপ্ন–চাওয়া
যতটা সম্ভব মুছে যাক বিরহের সুর
ফুলেদের ভাষায় বিরহ হয়তো দৈব্য আঁধারে
বাতাসনির্ভর এক সফর—
সেই সফরে পরাগায়নের গান
না হয় থাকুক একটি একলিঙ্গ ফুলের কাছে
কিছুটা সম্মোহন
যে হারায় নিয়ে দ্বৈতবাদ
তার কী কথা! মৃত্যুমুখী সেই তো সুন্দর
এই যে ভাবছি, বলেই
বিম্বাধর ফল সুন্দর, আছে ব্যথা
কিন্তু আমি বলব অনেক গল্প জমে আছে
কামিনীগাছটার বিচ্যুত সন্ধ্যায়
শূন্যতায় কেবল শূন্যতা
কথা আকীর্ণ হয়ে যায় অলৌকিকতায়
আজ বাতাসে অ্যালকোহল
দীর্ঘ পথ উৎস আর ধারা
দুপুর তাই এমন
চঞ্চল পাতারাও মন ভরে বেড়ে উঠছে
যেন সমূহ দ্বার নীত সম্ভাষণ
যতটা দাবি করছি, ইচ্ছেরা তত
অপ্রত্যাশিত থেকে যাচ্ছে
থেকে থেকে মনে পড়ছে
আমার জন্য কী তবে স্মৃতিই যথেষ্ট
সাক্ষাতের দুনিয়ায় আল্লাহ মেহেরবান
মিথ ও মৃত্যুর মধুবন
অন্তঃসুরে চেনা সব গান
ঘুমের ভেতর এত আকর্ষিক হয় কেন?
দুচোখ বন্ধ এই দেহ জমিন
একটি মেরুন নক্ষত্রের চাহনিতে
আকাশে বাড়িয়ে রেখেছি হাত
যদি মেঘ হতো স্বর্ণলতা, নিদেনপক্ষে বাড়াতাম বুক
একটুর জন্য খুব কাছে যাবার অপেক্ষায়
আমি তার দায় এড়াতাম
আজ ফিরে যেতে থামি, দেখি
মেঘ বাড়িয়েছে শাবক এক হাত
মানুষ কেন সমুদ্রে যায়?
মানুষের আছে নাকি অবসর
চাঁদের আলোয় জোয়ার-ভাটায়
দূরে যে সুন্দরের কুঞ্জন
জলের নকশা আর অথির বিন্যাস
সেখানে পৃথিবীর কবে থেকে
অরুণ মাঝিরা জামার ভেতর আঁকতে শিখেছিল
কম্পন রেখার অভিজ্ঞান
যদি ধরি উওলোফ ভাষা
ভাষার ভেতর ততটা অতীত বর্তমান নেই
মেঘের ছায়া এসে থেমে আছে অবিচলতায়
এইসব বিবশ দুপুর
পাতার হরণে উড়োপাতাদের শ্রদ্ধা অশেষ
হাতের সিগারেট পুড়ে যায়
এতক্ষণে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছ তুমি
ভাবছ দুপুর দু প্রহর
তোমার হাতঘড়ি হৃদয়ের পাশে রেখে
কোন রাগ মুছে যায়
কোন তারা নিভে যায় সুষুপ্ততায়
নিদ্রা ভেঙে যদি দেখি ক্রান্তদর্শী চাঁদ
হে আশ্চর্য দরবার
মধ্যরাত চোখ তুলে তাকানো যাবে না
কারণ করুণানির্ভর