কুড়িগ্রামে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর উদ্ধার
Published: 10th, August 2025 GMT
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা থেকে ১০ ফুট দৈর্ঘের অজগর সাপ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় এক জেলে। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে বনবিভাগের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে তার কাছে সাপটিকে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ফকিরের চর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে ফকিরের চর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ আলী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিষিদ্ধ চায়না ডারকি জাল পাতেন। এ সময় সাপটি মাছ খাওয়ার জন্য জালের ভেতরে ঢুকে আটকা পড়ে। জাল তুলতে গিয়ে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর সাপটি দেখতে পান তিনি। আমজাদ আলী সাপটি এলায়াক নিয়ে যান। খবরটি জানাজানি হলে অজগর দেখতে মানুষজন ভিড় করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের
সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপটি কাঁচা খেলেন আরেক সাপুড়ে
বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্বাস আলী বলেন, “সাপটি দেখে এসেছি। বন বিভাগের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি সাপটি নিয়ে গেছেন।”
ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, “সাপটি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত। চিকিৎসার জন্য প্রাণীটিকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বার্মিজ পাইথন একটি নির্বিষ এবং বিপন্ন প্রজাতির সাপ। এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না, বরং আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকেই ভয় বা ভুল ধারণার কারণে এ ধরনের সাপকে মেরে ফেলেন।”
উলিপুর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, “সাপটি আঘাতপ্রাপ্ত। প্রাণীটিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ