ফল প্রকাশসহ ৩ দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে ইবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 10th, August 2025 GMT
দ্রুত সেমিস্টার পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ্ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে দুপুর ১টায় বিভাগের অফিস রুম ও সামনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিভাগের শিক্ষকদের খামখেয়ালিপনার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
আরো পড়ুন:
নবীনদের স্বাগত জানাতে সেজেছে ববি
স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার রক্ষার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের দাবি সোমবারের (১১ আগস্ট) মধ্যে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল দিতে হবে। আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ করতে হবে এবং আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগেরই অনার্স সম্পন্ন হলেও আল-ফিকহ্ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। গত ২১ মে চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে ৭ জুলাই পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ মাস পেরোলেও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০১৯-২০ বর্ষের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা গত ২৮ জুন হওয়ার কথা থাকলেও তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিভাগটি। পরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করলেও কার্যত কোনো ফল মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেলা ১২টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে দুপুর ১টায় বিভাগের অফিস রুম ও সামনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলার কারণে তাদের সেশনজট কোনোভাবেই কাটছে না। শিক্ষকদের বারবার অবগত করলেও কোনো ধরনের সুফল মেলেনি। শিক্ষকরা বারবার বিভিন্ন অযুহাতে পরীক্ষা নিতে এবং ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করে থাকেন।
তারা বলেন, ১ মাসের বেশি সময় আগে আমাদের পরীক্ষা শেষ হলেও এখনো আমরা ফলাফল পাইনি। শিক্ষকরা আমাদের গত সপ্তাহে ফলাফল দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো দিতে পারেনি। আমরা অতিদ্রুত চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল এবং আগস্টের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা বাস্তবায়ন চাই।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম স ট র র ফল ফল স ম স ট র পর ক ষ শ ক ষকদ র আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ম্যাচকে মনে করানোর দিনে বুমরার ৫ উইকেট
২০১৯ সালের নভেম্বরে ইডেন গার্ডেনে দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছিল ভারত–বাংলাদেশ। সেটিই ছিল ভারতের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট, বাংলাদেশেরও। এরপর গত ছয় বছরে কলকাতার বিখ্যাত মাঠটিতে আর টেস্ট হয়নি। ইডেনের টেস্ট–খরা কেটেছে আজ ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে। অর্ধযুগ বিরতির কারণেই কিনা কে জানে, প্রথম দিনে খেলা দেখতে মাঠে গিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫১৩ দর্শক।
দিনটা তাঁদের মন্দ যায়নি। টসে জেতা দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট করেছে ভারত। এরপর দিনের শেষ দিকে ভারত ২০ ওভার ব্যাট করে শুধু যশস্বী জয়সোয়ালের উইকেটটাই হারিয়েছে। দিন শেষে দর্শকেরা সঙ্গে নিয়ে গেছেন যশপ্রীত বুমরার ৫ উইকেট দেখার আনন্দ।
দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। প্রথম ১০ ওভারেই ৫৭ রান তুলে ফেলেছিলেন দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন। ১১তম ওভারে রিকেলটনকে বোল্ড করে ভারতকে উদ্যাপনের প্রথম উপলক্ষ এনে দেন বুমরা। ২২ বলে ২৩ রান করা রিকেলটন বুমরার ঘণ্টায় ১৪০.৭ কিলোমিটার গতির ডেলিভারি ঠিকঠাক বুঝেই উঠতে পারেননি।
প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার করা বুমরা শেষটিতে তুলে নেন মার্করামকেও। ১ ছক্কা ৫ চারে ৪৮ বলে ৩১ রান করা মার্করাম ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্তের হাতে। ৫ রানের মধ্যে বুমরা দুই ওপেনারকে তুলে নেওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই চলে যায় ভারতের হাতে।
কুলদীপ যাদব এসে টেম্বা বাভুমাকে ফেরানোর পর টনি ডি জর্জি ও উইয়ান মুল্ডার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের ৪৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিও ভেঙে দেন কুলদীপ। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
১১৪ থেকে ১৫৯—৪৫ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে শেষ উইকেট হিসেবে কেশব মহারাজকে এলবিডব্লু করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন বুমরা। টেস্টে এটি তাঁর ১৬তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইশান্ত শর্মার পর ভারতের মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে কোনো পেসার ৫ উইকেট পেলেন এই প্রথম। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি হয়েছিল গোলাপি বলে।
লাল বল বিবেচনায় নিলে ভারতে টেস্টের প্রথম দিনে ফাস্ট বোলারদের ৫ উইকেট নেওয়ার সর্বশেষ ঘটনা ২০০৮ সালে আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইনের।
বুমরার ৫ উইকেট নেওয়ার দিনে বল হাতে ভালো করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররাও। কাগিসো রাবাদা চোটের কারণে ছিটকে পড়লেও মার্কো ইয়ানসেন, করবিন বশ ও মুল্ডাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন। ২০ ওভার ব্যাট করে ভারত তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ইয়ানসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জয়সোয়াল। ৫৯ বলে ১৩ রান করা লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৩৮ বলে ৬ রান নিয়ে অপরাজিত নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ওয়াশিংটন সুন্দর।
সব মিলিয়ে ইডেনে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ৭৫ ওভারে দুই দল মিলিয়ে উঠেছে ১৯৬ রান, উইকেট পড়েছে ১১টি। ইডেনে টেস্টের প্রথম দিনে এর চেয়ে বেশি উইকেট পড়েছিল শুধু ২০১৯ সালের বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচেই (১৩টি)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৫৫ ওভারে ১৫৯ (মার্করাম ৩১, মুল্ডার ২৪, ডি জর্জি ২৪, রিকেলটন ২৩; বুমরা ৫/২৭, কুলদীপ ২/৩৬)।
ভারত প্রথম ইনিংস: ২০ ওভারে ৩৭/১ (রাহুল ১৩*, জয়সোয়াল ১২; ইয়ানসেন ১/১১)।