হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও তাদের স্বজনদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (১০ আগস্ট) জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের ডিপারচার ড্রাইভওয়ে এবং অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাওছার মাহমুদ জানান, যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা, যানজট কমানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ম বিমানবন্দরের টার্মিনালের অভ্যন্তরের জন্য প্রযোজ্য নয়।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ

‘ফ্লাইং জোনে’ স্কুল হয় কীভাবে, প্রশ্ন নগর পরিকল্পনাবিদদের

নতুন নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আগত অতিথিদের দ্রুত বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করতে হবে। যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে বহির্গমন ও আগমন গেটে সর্বোচ্চ দুই মিনিটের বেশি অবস্থান না করার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে এবং সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

গত ২৭ জুলাই হযরত শাহজালাল (রা.

) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত ও বিদায় গ্রহণকারী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন— এমন নির্দেশনা জারি করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/হাসান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়

‘এই মুহূর্তে দরকার সারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংস্কার’  এই স্লোগানে দ্বাদশ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জুমার নামাজ সড়কে আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, “বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসলে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রথমে রোগী নিয়ে আসার পর ট্রলি আনতে গেলে দিতে হয় ১০০ টাকা, নার্সদের দিতে হয় ১০০ টাকা, সিস্টারদের দিতে হয় ১০০ টাকা, আয়াকেও দিতে হয় ১০০ টাকা। রাত ১০টার পরে হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না।”

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

“জরুরি বিভাগেরও একই অবস্থা। মাঝে মধ্যে জরুরি বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও তাদের অবহেলায় রোগী ও তাদের স্বজনদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মূলত ইর্ন্টান চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা”, যোগ করেন তিনি।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রায় প্রতিনিয়ত রোগীদের প্রাণহানী ঘটছে। তেমনি হাসপাতালের স্টাফদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে রোগীর স্বজনদের পকেট খালি হচ্ছে। এ অবস্থা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের। এ কারণে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রতিবাদে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।”

আন্দোলকারীদের দাবি, স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য চলবে না, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, শেবাচিমে জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিহত শিশুর গোসলের সময় গলায় দাগ দেখে পুলিশে ফোন স্বজনদের, সৎমা আটক
  • স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়