শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী-স্বজনদের নতুন নির্দেশনা
Published: 10th, August 2025 GMT
হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও তাদের স্বজনদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১০ আগস্ট) জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের ডিপারচার ড্রাইভওয়ে এবং অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাওছার মাহমুদ জানান, যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা, যানজট কমানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ম বিমানবন্দরের টার্মিনালের অভ্যন্তরের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ
‘ফ্লাইং জোনে’ স্কুল হয় কীভাবে, প্রশ্ন নগর পরিকল্পনাবিদদের
নতুন নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আগত অতিথিদের দ্রুত বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করতে হবে। যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে বহির্গমন ও আগমন গেটে সর্বোচ্চ দুই মিনিটের বেশি অবস্থান না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে এবং সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই হযরত শাহজালাল (রা.
ঢাকা/হাসান/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ
চাঁদপুরের সৌদিপ্রবাসী মেহেদী হাসানের (২৫) বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান মেহেদী হাসান। বিয়ের পর নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান মতলব উত্তর উপজেলার এমএম কান্দি গ্রামের আবদুল বারেক দেওয়ানের ছেলে। মেহেদীর নববধূর নাম আবিদা সুলতানা। তিনি একই উপজেলার রুহিতারপাড় গ্রামের মো. আল আমিনের মেয়ে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে যান। বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। কনে দেখা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ শুক্রবার রুহিতারপাড় গ্রামের একটি মাঠে বরপক্ষকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি নামলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্বজনদের নিয়ে মেহেদী হাসান হেঁটে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি তাঁর গ্রামে পৌঁছালে ভিড় করেন এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বাবার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে তিনি ও তাঁর পরিবার খুবই আনন্দিত। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল বারেক দেওয়ান বলেন, ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে তাকে বিয়ে করাবেন। আজ তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনা জানার পর হেলিপ্যাড এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।