মতলব উত্তরে মাথায় গুলির চিহ্ন ও পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 13th, August 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মিজানুর রহমান (৩২) নামের এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্নসহ দুই পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল একটি সড়কের পাশে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার এখলাশপুর গ্রামের বকুলতলা এলাকা থেকে মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানান। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত মিজানুর রহমান এখলাশপুর গ্রামের মৃত ফজলুল্লাহ কাজীর ছেলে। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজ। স্ত্রী শারমিন আক্তার ও এক শিশুসন্তান নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সেখানে অটোরিকশা চালাতেন।
সকালে বকুলতলা এলাকায় সড়কের পাশে মিজানুর রহমানের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ হোসেনসহ কয়েকজন। তাঁদের ভাষ্য, মিজানুর রহমানের মাথায় গুলির চিহ্ন ছিল, দুই পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। চোয়াল ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও দেখা যায়। তাঁরা মরদেহটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাঁরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেন।
নিহত মিজানুর রহমানের ছোট বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, তাঁর ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে নারায়ণগঞ্জ বা এখলাশপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে সড়কে ফেলে গেছে। তবে কার সঙ্গে শত্রুতা ছিল, জানেন না। তাঁর স্ত্রী এলে হয়তো জানা যাবে। তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।
মিজানুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন র র মরদ হ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ
চাঁদপুরের সৌদিপ্রবাসী মেহেদী হাসানের (২৫) বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান মেহেদী হাসান। বিয়ের পর নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান মতলব উত্তর উপজেলার এমএম কান্দি গ্রামের আবদুল বারেক দেওয়ানের ছেলে। মেহেদীর নববধূর নাম আবিদা সুলতানা। তিনি একই উপজেলার রুহিতারপাড় গ্রামের মো. আল আমিনের মেয়ে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে যান। বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। কনে দেখা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ শুক্রবার রুহিতারপাড় গ্রামের একটি মাঠে বরপক্ষকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি নামলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্বজনদের নিয়ে মেহেদী হাসান হেঁটে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি তাঁর গ্রামে পৌঁছালে ভিড় করেন এলাকাবাসী।
মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বাবার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে তিনি ও তাঁর পরিবার খুবই আনন্দিত। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল বারেক দেওয়ান বলেন, ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে তাকে বিয়ে করাবেন। আজ তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনা জানার পর হেলিপ্যাড এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।