স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেছেন, “স্বাস্থ্যখাত সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা যে তিন দফা দাবি তুলেছে, তা যৌক্তিক। তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘসময় লাগবে। সেবার মান বৃদ্ধিতে লোকবল, অবকাঠামোগত পরিবর্তনেও সময় লাগবে।”

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন এবং কর্মকর্তা ও সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা কি সরকারকে বেকাদায় ফেলে তৃতীয় পক্ষের কেউ ফায়দা লোটতে চায় কিনা, তা ভাবতে হবে। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।”

আরো পড়ুন:

নবীনদের স্বাগত জানাতে সেজেছে ববি

সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ববিতে মানববন্ধন

মহাপরিচালকের সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা.

আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।

মতবিনিময় সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের স্বাস্থ্য পরিসেবা বৃদ্ধির পাশপাশি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ১৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে পাঁচদিন ধরে তারা নগরীর নথুল্লাবাদে মহাসড়ক অবরোধ করায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা এই অবরোধ পালন করছেন। 

এছাড়া শের-ই বাংলা মেডিকেলের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্যরা অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ না রেখে অনশন অব্যহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা এবং তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার দাবি করেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাতে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অনশনরতদের জন্য ফল নিয়ে গেলে তা রাখেননি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনশরতদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ হয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মশিউল মুনীরও।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, “সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। আমাদের দাবি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্বশরীরে বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিতে হবে। তিনি (স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) বরিশালে না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

স্বাস্থ্যসেবায় অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ ও তিন দফা দাবি আদায়ে চলমান ১৭ দিনের আন্দোলন থামাতে বরিশাল সফর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। সড়কপথে বুধবার সকালে বরিশালে পৌঁছে তিনি বৈঠক করেন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুমে বিকেল পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল অনশন বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।

আরো পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান

ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন

আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। 

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।

সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ