বন্দরে নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেপ্তার ২, ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার
Published: 13th, August 2025 GMT
বন্দরে বিশেষ অভিযানে নারী মাদক কারবারিসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছেপুলিশ। অভিযান কালে পুলিশ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী নারী মাদক ব্যবসায়ী হাবিবার কাছ থেকে ১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও অপর মাদক সম্রাট শুক্কুরের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সুচিয়াবন এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মতিউর রহমান জনী ওরফে ব্লাক জনী স্ত্রী হাবিবা (২৯) ও বন্দর থানার একরামপুর এলাকার তালিকাভূক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি মিয়ার ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুর (৪২)। ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার এসআই ইদ্রিস আলী ও অপর এসআই ফারুক বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ২৩(৮)২৫ ও ২৪(৮)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উল্লেখিত পৃথক মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টায় বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী ও সুচিয়ারবন এলাকায় পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে একরামপুর ও সুচিয়ারবন এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ২ মাদক ব্যবসায়ী মধ্যে ধৃত মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুরের বিরুদ্ধে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একটি ১ ডজন মামলা রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত রক ত
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
ঢাকা/বাদল/এস