ডাবের পানি সবার জন্য নয়, কারা এবং কেন অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন
Published: 14th, August 2025 GMT
প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যগুণের আড়ালে কারও কারও জন্য ডাবের পানি ডেকে আনতে পারে সমস্যা। চিনি, ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা এবং ঠান্ডা প্রকৃতির কারণে, বিশেষ করে যাঁদের আগে থেকেই কিছু স্বাস্থ্যসমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করতে পারে জটিলতা।
ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা খাবারে অ্যালার্জির মতো নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থা থাকলে ডাবের পানি উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করতে পারে। তাই কখন এই পানীয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তা জানা জরুরি। গবেষণা, বৈজ্ঞানিক তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এখানে বিস্তারিত বলা হলো কারা ডাবের পানি এড়িয়ে চলবেন এবং কেন।
প্রতি ২০০ মিলিলিটার ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে ৬–৭ গ্রাম। ফলের রস বা কোমল পানীয়ের তুলনায় কম হলেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে।
ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রাকৃতিক চিনি নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠানামা করতে পারে। আজকাল বোতলজাত ডাবের পানিও পাওয়া যায়। এসবে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা থাকে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
অতএব ডায়াবেটিক রোগীদের ডাবের পানি অল্প পরিমাণে খাওয়া কিংবা পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই নিরাপদ। আপনার ডায়েটের জন্য সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করতে অবশ্যই কোনো চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
অ্যালার্জির প্রবণতা আছে যাঁদেরডাবে অ্যালার্জি তুলনামূলকভাবে বিরল, তবুও সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে। ডাবের পানি বা ডাব দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার পরপরই চুলকানি, চাকা চাকা দাগ, ফোলা বা ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, হজমের সমস্যা, এমনকি অ্যানাফাইল্যাক্সিস (একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুতর অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া) হতে পারে।
‘এশিয়া প্যাসিফিক অ্যালার্জি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবে অ্যালার্জি থাকা শিশুদের প্রায় ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে ত্বক-সংক্রান্ত উপসর্গ দেখা দেয়, আর প্রায় ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জটিল অ্যানাফাইল্যাক্সিস হয়।
ডাবে অ্যালার্জি তুলনামূলকভাবে বিরল, তবুও সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমজাদ ভাই এমনভাবে বলেন যে আর না করতে পারিনি’
তাঁর পরিচয় তিনি লেখক, অভিনয়শিল্পী, পরিচালক। আজ প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনের জন্মদিন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। জন্মদিন উপলক্ষে আমজাদ হোসেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু জানা–অজানা তথ্য।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন আমজাদ হোসেন। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম ছড়া লেখেন, যা প্রকাশিত হয়েছিল ‘আজাদ’ পত্রিকায় শিশুদের পাতায়। ম্যাট্রিক পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে গোপনে কলকাতার দেশ পত্রিকায় কবিতা লিখে পাঠান। প্রকাশের আগেই দেশ পত্রিকা থেকে সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমজাদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।
সিনেমায় আমজাদ হোসেনের পথচলা শুরু হয় অভিনয় দিয়ে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরবর্তী সময়ে তিনি কালজয়ী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
আমজাদ হোসেন। ফাইল ছবি