২০০৬ সালের কথা। ভারতীয় সংগীতাঙ্গনে পরিবর্তনের ঢেউ। পরিচিত কয়েকজন গায়ক হারিয়ে যেতে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম আদনান সামি। যে গায়ক কয়েক বছর ধরে প্রেম, উচ্ছ্বাস আর আনন্দে ভরিয়ে রেখেছিলেন শ্রোতাদের হৃদয়, যাঁর কণ্ঠে বাজত ভালোবাসার সুর, তিনি আচমকা হারিয়ে গেলেন। মঞ্চে নেই, স্টুডিওতে নেই, টেলিভিশনের পর্দায় নেই তাঁর চেনা হাসি। এমনও  গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল—তিনি নাকি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কেউ বললেন, অসুস্থতা এতটাই বেড়েছে যে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই সব শেষ। সেই গুজবের মধে৵ই একদিন ফিরে এলেন তিনি; কিন্তু যেন একেবারেই অন্য মানুষ হয়ে। ২৮০ কেজি ওজনের স্থূলকায় সেই গায়ক রূপান্তরিত হয়েছেন ৮৫ কেজির এক নতুন চেহারায়। দর্শক প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি, এ কি সেই আগের আদনান সামি?
শুরুটা পাকিস্তানে। তবে পাকিস্তান ছাড়িয়ে ভারতেও তিনি গান দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। দর্শকের মুখে মুখে ছিল তাঁর গান। জনপ্রিয়তার চূড়ায় থেকেও সেই সময়ে সংগীত থেকে দীর্ঘ বিরতিতে চলে যান। ২০০৫ সালের দিকে এই গায়কের ভয়াবহ অসুস্থতা, চিকিৎসকের সতর্কবার্তা—সব মিলিয়ে জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ডুবে ছিলেন তিনি; কিন্তু ১১ মাস পর যখন ফিরে এলেন, তখন একজন নতুন মানুষ, নতুন গায়ক, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে মঞ্চে দাঁড়ালেন।

২০০৫ সালের দিকে এই গায়কের ভয়াবহ অসুস্থতা, চিকিৎসকের সতর্কবার্তা—সব মিলিয়ে জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ডুবে ছিলেন তিনি; কিন্তু ১১ মাস পর যখন ফিরে এলেন, তখন একজন নতুন মানুষ, নতুন গায়ক, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে মঞ্চে দাঁড়ালেন।আদনান সামি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আদন ন স ম

এছাড়াও পড়ুন:

গণ–অভ্যুত্থানের সময় চানখাঁরপুলে পুলিশের পোশাকে লোকেরা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল

গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনেছেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন সাক্ষী শহীদ আহম্মেদ।

গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ শহীদ আহম্মেদ এই জবানবন্দি দেন। গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে গুলিতে শহীদ ছয়জনের একজন মো. ইয়াকুবের চাচা হলেন শহীদ আহম্মেদ।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল–১–এ আজ এই জবানবন্দি দেন শহীদ আহম্মেদ। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এই মামলায় আজ তিন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ছয় সাক্ষী জবানবন্দি দিলেন।

আজ জবানবন্দিতে সাক্ষী শহীদ আহম্মেদ বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি, তাঁর ছেলে সালমান, তাঁর ভাতিজা মো. ইয়াকুব ও তাঁর এলাকার রাসেল, সুমন, সোহেলসহ আরও অনেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁনখারপুল এলাকায় পৌঁছান। সেখানে হাজার হাজার লোক চারদিক থেকে জড়ো হচ্ছিলেন। তখন তিনি দেখেন, চানখাঁরপুল মোড়ের উল্টো পাশে অনেক পুলিশ, ছাপা পোশাকধারী পুলিশ ছিল। পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদেরকে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনেন তিনি। পুলিশ তাঁদের বাধা দিচ্ছিল। তাঁদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

জবানবন্দিতে শহীদ আহম্মেদ বলেন, আবার তাঁরা সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। তাঁর পাশের একজনের পায়ে গুলি লাগে। তাঁকে তিনি সরাচ্ছিলেন। তখন তাঁকে একজন বলেন, তাঁর ভাতিজা ইয়াকুবের গায়ে গুলি লেগেছে। তিনি ওই ছেলেকে আরেকজনের কাছে রেখে ভাতিজার কাছে যান। আরও দুজনসহ ভাতিজাকে অটোরিকশায় করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন যে ইয়াকুব মারা গেছে।

এ মামলায় আট আসামি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক। আর অপর আসামি শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার আছেন। আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সার্কভুক্ত ‘দেশি’ ফুটবলার আশীর্বাদ নাকি শঙ্কা
  • বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, জড়িত ৫ জন শনাক্ত
  • পিঠ চাপড়ে দিব‍্যকে আদর করে দিলেন আমির খান
  • ২০ মিনিটেই মিলল টিসিবির পণ্য, খুশি ক্রেতা
  • ডাকসু নির্বাচন: তৃতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ২২ প্রার্থী
  • টের স্টেগেনের ‘দীর্ঘমেয়াদি চোট’, গার্সিয়াকে নিবন্ধন করাতে পারবে বার্সা
  • ধূমকেতুর জন্য রাজের প্রতীক্ষা শেষ
  • কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ
  • গণ–অভ্যুত্থানের সময় চানখাঁরপুলে পুলিশের পোশাকে লোকেরা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল