রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, পদ পেলেন বহিষ্কৃত ৩ নেতা
Published: 17th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট ‘আংশিক পূর্ণাঙ্গ’ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হলে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ফেসবুক পেজে এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কৃত তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের নতুন কমিটিতে পদ দেওয়া হয়। হল কমিটিগুলোকে আগামী সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শাখা ছাত্রদলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন সুলতান আহমেদ ও সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান। কমিটিতে ২৫ জন সহসভাপতি আছেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সর্দার জহুরুল ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখা হয়েছে ২৮ জনকে। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদুল মিঠু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আছেন ২৩ জন। এ ছাড়া প্রচার সম্পাদক হয়েছেন আর রাফি খান, ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং আইনবিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হলে আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো ছাত্রী হলে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। শাহ্ মখদুম হলে সভাপতি যুবায়ের হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে সভাপতি আবদুল্লাহ আল মোবারক ও সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান ইসলাম, শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে সভাপতি মারুফ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক খালিদ মাহমুদ।
বিজয়-২৪ হলে সভাপতি গাজী ফেরদৌস হাসান ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রাকিব, মাদার বখ্শ হলে সভাপতি কাজী তানভীর আহসান ও সাধারণ সম্পাদক সাইক রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইমুন ইবনে অরন।
শহীদ হবিবুর রহমান হলে সভাপতি হাবিবুল বাশার প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন খান, মতিহার হলে সভাপতি হাসিম রানা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নিশাত, সৈয়দ আমীর আলী হলে সভাপতি মেহেদী হাসান বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ।
নবাব আবদুল লতিফ হলে সভাপতি মুরাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মৃদুল হোসেন এবং শহীদ শামসুজ্জোহা হলে সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সবুজ শাহরিয়ার।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিদ্ধান্তে শাখার সাবেক সদস্য ফারুক হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব ও কর্মী হাসিবুল হাসানের অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত অক্টোবরে চাঁদাবাজির ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে নবগঠিত কমিটিতে তাঁদের নতুন পদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহসান হাবিব ও ফারুক হোসেন হয়েছেন সহসভাপতি এবং হাসিব হাসান হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় ছ ত রদল কম ট ত হয় ছ ন ইসল ম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।