সংসদে ১৫১ জন নারী প্রতিনিধি কেন থাকবে না, প্রশ্ন মঈন খানের
Published: 17th, August 2025 GMT
বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী এবং সেখানে সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫১ জন কেন নারী প্রতিনিধি থাকবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, এটা অনেকে হয়তো বলবেন অবান্তর, অবাস্তব। অনেক প্রশ্নই আসবে, কিন্তু অবান্তর-অবাস্তব নয়। এখানে মূল জিনিসটা হচ্ছে সমাজব্যবস্থা।
বিএনপির এই নেতা বলেছেন, পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজব্যবস্থায় গায়ের জোরে নারীদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কোনো নারীর রাজনীতিক হতে হলে পিএইচডি ডিগ্রিধারী হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। তিনি আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে নারী প্রার্থী দিতে আহ্বান জানান।
আজ রোববার বিকেলে ‘জুলাই আপরাইজিং অ্যান্ড দ্য ইন্টারপ্লে বিটুইন পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেমিনারটির আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা খান ফাউন্ডেশন।
আবদুল মঈন খান বলেন, একটা যুক্তি দেওয়া হয়, যোগ্য মেয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা নারী। সেখানে যোগ্য মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না—এটা হতে পারে না। হতে পারে লেখাপড়ার দিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পিছিয়ে আছে, রাজনীতিক হওয়ার জন্য তো পিএইচডি ডিগ্রিধারী হওয়ার দরকার নেই। গ্রামে অনেক শক্তিশালী নারী রয়েছেন, যাঁরা নিজের অধিকারের কথা বলে থাকেন।
‘মেয়েদের নমিনেশন দিলে তো তারা পাস করে না’—এমন প্রচলিত ধারণার প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, ‘সেই ৩০ বছর আগের কথাটি আজকে আমি পুনরাবৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছি। যত ছেলেকে নমিনেশন দেওয়া হয়, সবাই পাস করে তো? কাজেই নমিনেশন দেওয়ার পরে কেউ পাস করবে, কেউ ফেল করবে, সেটা যার যার এলাকা, যোগ্যতা, পপুলারিটি অনেক কিছুর ওপরে নির্ভর করে।’
নারীর ক্ষমতায়নে মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকের সমাজব্যবস্থাকে যদি আমরা পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে কিন্তু এই নারী মুক্তি, নারী আন্দোলন, নারী শক্তি, নারীর সমতা—এসব সেমিনার বক্তৃতা করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের অন্তর থেকে সে পরিবর্তনটি আনতে হবে।’
সেমিনারের শুরুতে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোখসানা খন্দকার সংস্থাটির নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় নারীকে আরও বেশি যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নারী সংস্কার কমিশনের (নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন) করা সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে সম্মতি না দেওয়ায় তিনি কিছুটা দুঃখিত এবং অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, শত শত প্রস্তাব ছিল। যার মধ্যে কিছু বাস্তবসম্মত ছিল। কিছু সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। এটি (প্রস্তাবগুলো সম্মতি না দেওয়া) সত্যি সত্যি দুঃখজনক।
আজকের সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক তানিয়া রব প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ১৩টি বিভাগে
গাজীপুর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েটে) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে প্রথম সেমিস্টারে পূর্ণকালীন বা খণ্ডকালীন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইনস্টিটিউটে যে প্রোগ্রামে ভর্তি করা হবে
১. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি।
২. ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি।
৩. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি।
৪. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি।
৫. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি।
৬.ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং।
৭. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং।
৮. রসায়ন প্রোগ্রাম: এমএসসি, এমফিল, পিএইচডি।
৯. গণিত প্রোগ্রাম: এমএসসি, এমফিল, পিএইচডি।
১০. পদার্থবিজ্ঞান প্রোগ্রাম: এমএসসি, এমফিল, পিএইচডি।
১১. ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম: পিজিডি, এমএসসি ইন ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট, মাস্টার্স ইন ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট।
১২. ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি প্রোগ্রাম: পিজিডি, এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং।
১৩. ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম: পিজিডি, এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং।
ভর্তির দরকারি তারিখ
১. ভর্তির নিমিত্তে আবেদন করার যোগ্যতা যাচাইয়ের আবেদন করার শেষ তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২৫।
২. ভর্তির নিমিত্তে আবেদন করার যোগ্যতা যাচাইয়ের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের তারিখ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫।
৩. ভর্তির আবেদনের শুরু ও শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৫।
৪. প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের তারিখ: ৬ নভেম্বর ২০২৫।
৫. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ৯ থেকে ১১ নভেম্বর ২০২৫।
৬. ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫।
৭. ভর্তির তারিখ: ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর ২০২৫।
৮. কোর্স রেজিস্ট্রেশনের তারিখ: ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫।
৯. ক্লাস শুরুর তারিখ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫।
সাধারণ শর্তাবলি
১. ভর্তির বিস্তারিত তথ্য–সংবলিত প্রসপেক্টাস এবং অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এ পাওয়া যাবে।
২. দেশের সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিধারীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তির নিমিত্তে আবেদন করার যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ফি বাবদ তিন হাজার টাকা মাত্র পেমেন্ট–সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুসরণ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। যোগ্যতা যাচাইকরণ করার প্রাথমিক যোগ্যতা হিসাবে BNOF–এর ন্যূনতম মোট Credit-Hours সম্পন্ন থাকতে হবে।
৩. ভর্তির জন্য আবেদন করার ফি ১ হাজার ৭৫০ টাকা পেমেন্ট–সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুসরণ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে।
৪. পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী Fellowship/Teaching/Research Assistantship প্রদান করা যেতে পারে।
৫. চাকরি করা প্রার্থী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতিসহ খণ্ডকালীন বা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে এবং সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ডেপুটেশন বা ছুটির আদেশ বা NOC অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
৬. ডুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমাপনী বর্ষের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শুধু গ্রেডশিট দাখিল বা অনলাইনে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার দিন সাময়িক সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
৭. ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে মৌখিক বা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ–সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: