এক বছর ধরে ভাঙা পড়ে আছে ভাস্কর্যগুলো
Published: 23rd, September 2025 GMT
রাজধানীর শিশু একাডেমির সামনে শিশুর ভাস্কর্য ‘দুরন্ত’র স্থানে এখন একটি কাপড়ের ব্যানার ঝুলছে। সেখানে ‘দুরন্ত’র অস্তিত্ব নেই।
দিনাজপুরের তেভাগা চত্বরে তির-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মারক সিধু-কানুর ভাঙা ভাস্কর্য থানা-পুলিশের হেফাজতে আছে।
এমন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ২০টি ভাঙা-ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্য-ম্যুরালের কোনোটির সংস্কার হয়নি গত এক বছরে। ভাস্কর্যশিল্পীরা বলছেন, এই ভাস্কর্যগুলো দেশের ঐতিহাসিক ও নান্দনিক ঐতিহ্য। তাই এগুলোর সংস্কার জরুরি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-ক্ষতিগ্রস্ত-গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভাস্কর্য-ম্যুরাল আছে। আছে মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও প্রসঙ্গের প্রতীকের ভাস্কর্য-ম্যুরাল।
ঢাকার যত ভাস্কর্যরাজধানীর শিশু একাডেমির সামনের এখানে ছিল শিশুর ভাস্কর্য ‘দুরন্ত’। এখন সেখানে একটি কাপড়ের ব্যানার রয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ভ স কর য
এছাড়াও পড়ুন:
শাঁখারীবাজারে পূজার বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে
গলিতে ঢুকতেই নাকে এসে লাগে ধূপের সুবাস। আড়মোড়া ভেঙে সবে জাগতে শুরু করেছে শাঁখারীবাজার। তখন ঘড়িতে বাজে প্রায় সাড়ে ১০টা। পুরোপুরি কর্মচঞ্চল হতে বেলা ১১টা বেজে যাবে। তারপর বেচাকেনা চলবে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। গলির দুপাশে সারি সারি দোকান। তাতে থরে থরে সাজানো পূজার সরঞ্জাম: শাঁখা, ফুল, ধূপ, আলতা, সিঁদুর, প্রদীপ, অলংকার। সবকিছুর মধ্যেই যেন মিশে আছে উৎসবের আবহ, ধর্মীয় আচার আর শত বছরের ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আর আছে আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নানা ব্যস্ততা। কেউ বাঁশের কাঠামো তৈরি করছে, কেউ দোকানে বসে সাজাচ্ছে পূজার সরঞ্জাম। আসছে শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্যই যেন প্রস্তুত হচ্ছে পুরো এলাকা।
আরও পড়ুনসাধ ও সাধ্যের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর যেসব বাজারে যেতে পারেন, জেনে রাখুন দরদাম১১ মার্চ ২০২৫ঐতিহ্যের গলি
হৃদয়নাথ মজুমদারের লেখা থেকে জানা যায়, ‘শাঁখারী বাজারের শাঁখারীরা বাংলার হিন্দুদের সরবরাহ করতেন শাঁখা। ধনাঢ্য শাঁখারীরা শাঁখা কিনে আনতেন সিংহল থেকে। এছাড়া, সমুদ্রের যেসব অংশে পাওয়া যেত শাঁখা, সরকার সেগুলিকে লীজ দিতেন। যাঁরা লীজ নিতেন তাঁরা জেলেদের সাহায্যে শাঁখা উঠিয়ে বিক্রি করতেন মহাজনদের কাছে। মহাজনরা আবার শাঁখা সরবরাহ করতেন ঢাকার শাঁখারীদের কাছে।’
শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্যই যেন প্রস্তুত হচ্ছে পুরো এলাকা