জকসুতে ৯ সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করার প্রস্তাব ছাত্রদলের
Published: 23rd, September 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে (জকসু) কার্যকর ও সময়োপযোগী করতে নয়টি নতুন সম্পাদকীয় পদ সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর সংগঠনটির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এতে জকসুর গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার পাশাপাশি নতুন কিছু পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
জবিতে ৩৩টি পানির ফিল্টার স্থাপন করল ছাত্রশিবির
ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব
প্রস্তাবিত নয়টি পদ হলো– স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক, দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়া ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ‘অর্থ সম্পাদক’ পদ বাতিল করে কেবলমাত্র ‘কোষাধ্যক্ষ’ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
তাদের দাবি, একই ধরনের দুটি পদ রাখলে পুনরাবৃত্তি ও সাংগঠনিক দ্বন্দ্বের আশঙ্কা থাকে।
প্রস্তাবে বলা হয়, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণে যারা অনার্স বা মাস্টার্স নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেননি, তাদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ খসড়া শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করার দাবিও জানায় সংগঠনটি।
প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, জকসু শুধু প্রশাসনিক নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৬৯ ও ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরার দায়িত্ব জকসুর থাকা উচিত।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমরা জকসু নিয়ে নতুন করে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছি। এর আগেও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এগুলো বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।”
জকসু নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধন কমিটির সদস্য এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জকস জকস ছ ত রদল প রস ত ব ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।
পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিএমইএর নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, রশিদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ। অন্যদিকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কিয়াও চেন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রুইফেং ঝাং ও অর্থনীতিবিদ আয়া সাইদ।
উভয় পক্ষের আলোচনায় পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রভাব, শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজিত পণ্য বৈচিত্র্যকরণের কৌশল গুরুত্ব পায়। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব, ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য করণীয় বিষয়েও আলোচনা হয়।
আইএমএফের প্রতিনিধিদের কাছে জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানসহ শিল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিজিএমইএর নেতারা। তাঁরা শিল্পের কৌশলগত রূপকল্প তুলে ধরে জানান, পোশাকশিল্প বর্তমানে শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে কৃত্রিম তন্তু ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলভিত্তিক পোশাক তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, তাঁদের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার উন্নয়ন, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্কসুবিধা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ), যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করার বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।