তিন দেশ থেকে ফেরত এল ২৯ বাংলাদেশি
Published: 25th, September 2025 GMT
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ইতালি, গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে ২৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫৯ মিনিটে একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। তাঁরা সবাই পুরুষ।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ইউরোপের ইতালি, গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে ২৯ বাংলাদেশি যাত্রী ঢাকায় আসেন।
যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিমানবন্দরে তাঁদের গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে কয়েক দফায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হলো আরও ৩০ বাংলাদেশিকে০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর কড়া অভিবাসন নীতি গ্রহণ করে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা অন্তত ১৮৭ জন।
আরও পড়ুন৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র০২ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন