বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে বরিশালের আদালত পরিদর্শন করলেন প্রধান বিচারপতি
Published: 25th, September 2025 GMT
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে বরিশালের আদালত পরিদর্শন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাঁরা বরিশাল জেলা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের একটি হোটেলের মিলনায়তনে ইউএনডিপি আয়োজিত ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্সি অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি বরিশাল আদালতে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিচারক ও আইনজীবী সমিতির নেতারা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিচার বিভাগের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি স্থানীয় বিচারকদের সঙ্গে তাঁরা মতবিনিময় করেন।
বরিশালের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেন জানান, বিচার বিভাগকে পৃথক্করণে প্রধান বিচারপতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আদালতের কার্যক্রম সরেজমিন দেখে ইউএনডিপির প্রধানসহ সাতজন বিদেশি কূটনীতিক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিনিধিদল আশা প্রকাশ করেছে, দেশের গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য বিচারসেবা আরও সহজ ও কার্যকর হবে। রাষ্ট্রদূতেরা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতিকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। আদালত পরিদর্শন শেষে দুপুরে প্রধান বিচারপতি নগরের বান্দরোডের একটি হোটেলের হলরুমে ইউএনডিপি আয়োজিত ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্সি অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারে বিভাগের জেলা ও দায়রা জজ, অন্যান্য বিচারক এবং আইনজীবীরা অংশ নেন।
এর আগে গতকাল বুধবার দুই দিনের সফরে ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ সুইডেন, নরওয়ে, ইইউ রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরিশালে আসেন। তাঁরা সফরের প্রথম দিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ, তা মোকাবিলায় কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আলী নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিদেশি কূটনীতিকেরা বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ওই দিন বিকেলে তাঁরা নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কে অক্সফোর্ড মিশন চার্চ পরিদর্শন করেন। আজ তাঁরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও সেমিনারে অংশ নেন।
আরও পড়ুনবরিশালে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ইসির মতবিনিময়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউএনড প ক টন ত ক বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে