১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ঘটে যায় এক রোমহর্ষ গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা খালিদ মিশালকে নীরবে হত্যা করতে ছয় এজেন্টের একটি বিশেষ দল জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পাঠায়। কিন্তু এই হত্যা পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায়, আটক হয় দুই এজেন্ট। এটি ছিল মোসাদের সবচেয়ে শোচনীয় ব্যর্থ অভিযান।

ওই ঘটনা খালিদ মিশালের রাজনৈতিক জীবনকে আমূল বদলে দিয়েছিল। জর্ডানের তৎকালীন বাদশাহ হোসেনের জন্য এ ঘটনা ছিল বড় কূটনৈতিক বিজয়। অন্যদিকে ইসরায়েলকে এই ব্যর্থতার চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। খালিদ মিশালকে কেন হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল আর কেনই–বা ব্যর্থ হয়েছিল সেই অভিযান? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে দেখা যাক ২৮ বছর আগে।

প্রতিশোধের ডাক

১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে ইসরায়েলের জেরুজালেমের একটি বিপণিবিতানে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় হামাস। নিহত হয় ১৬ জন ইসরায়েলি, আহত হয় অন্তত ১৭০ জন। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই বৈঠকে মোসাদসহ দেশটির অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে হামাসের একজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার ব্যাপারে সবাই একমত হন। কিন্তু কাকে হত্যা করা হবে, তা নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়। নেতানিয়াহু প্রথম হামাস নেতা মুসা আবু মারজুকের নাম প্রস্তাব করেন। কারণ, সে সময় তিনি ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, আবু মারজুক যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। তাঁকে হত্যা করলে মার্কিন প্রশাসনের চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। এমন পরিস্থিতি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান খালিদ মিশালকে হত্যার প্রস্তাব দেন মোসাদের তৎকালীন পরিচালক ড্যানি ইয়াতোম। সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেন জায়নবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ম শ লক

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯