বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মানবপিরামিড
Published: 26th, September 2025 GMT
এক দল তরুণ মিলে তৈরি করেছেন তিন তলা বাড়ির সমান উচ্চ মানবপিরামিড। ওই পিরামিডের উচ্চতা ১৪ দশমিক ৭৩ মিটার বা ৪৮ ফুট ৩ দশমিক ৯২ ইঞ্চি। পিরামিডটি কয়েক সেকেন্ডের বেশি টিকে থাকতে পারেনি। তারপরেও গড়েছে বিশ্ব রেকর্ড।
ভারতের মহারাষ্ট্রে ‘দাহি হান্ডি’ উৎসবে অগণিত মানুষের সামনে একদল তরুণ মিলে তৈরি করেন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মানবপিরামিড। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডর্সের ওয়েবসাইটে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘রাজ্যের থানে শহরে গত ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমীর দিন ১০ স্তরের এই মানবপিরামিড গড়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন একদল তরুণ।’’
আরো পড়ুন:
জেগে উঠেছে ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
বাংলাদেশের স্বপ্ন, চ্যালেঞ্জ আর সম্ভাবনার আজ ‘ভারত’ পরীক্ষা
একটি সংগঠনের উদ্যোগে মানবপিরামিড গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংগঠনটির নাম কোকননগর গোবিন্দ পাঠক অ্যান্ড সংস্কৃতি যুব প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট।সাধারণত ৮ বা ৯ স্তরের মানবপিরামিড গড়া যায়।অনেক দিন ধরেই ভারত ও স্পেন যৌথভাবে সবচেয়ে উঁচু মানবপিরামিড গড়ার রেকর্ড ধরে রেখেছিল। এবার প্রথমবারের মতো ১০ স্তরের মানবপিরামিড গড়তে সফল হলো ভারতের একটি দলটি।
যেভাবে তৈরি হলো মানবপিরামিড
প্রথমে একে একে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শক্ত বৃত্ত তৈরি করেন অংশগ্রহণকারীরা। এরপরে তাদের কাঁধে দাঁড়িয়ে ওপরের স্তরে ওঠেন আরেকটি দলের সদস্যরা। তারপর একে একে দশটি স্তর তৈরি করেন তারা। এভাবে এভাবে ছোট ছোট দলের সদস্যরা অপর দলের সদস্যদের কাঁধ বেয়ে ওপরে ওঠেন। এভাবে ক্রমেই তৈরি হতে থাকে পিরামিডের আকৃতি। স্তরের একেবারে চূড়ায় ছিলেন মাত্র একজন। তিনিই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যার মাথায় হেলমেট ছিল এবং নিরাপত্তার জন্য একটি দড়ি তাঁর সঙ্গে বাঁধা ছিল।
শীর্ষে দাঁড়ানো তরুণ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মানবপিরামিডটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তখন তাকে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা ক্রেনে করে নিরাপদে নামানো হয়। শীর্ষে থাকা তরুণ ভারসাম্য হারানোর পর পিরামিডটি ভেঙে পড়ে। তবে কেউ গুরুতর আহত হননি। রেকর্ড উচ্চতার মানবপিরামিড গড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমবেত মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এই অর্জনের স্বীকৃতি দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, মানবপিরামিডটিসাহস, ঐক্য ও সংস্কৃতির জীবন্ত প্রতীক।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নবপ র ম ড গ প র ম ডট স তর র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।
চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগেচালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’
দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’