নীরবে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন পোকামাকড়। সেই পোকামাকড়দের অনেকেই উদ্বেগজনক হারে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। মানুষের উপস্থিতি নেই এমন সব এলাকা থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে পোকামাকড়। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির চ্যাপেল হিলের গবেষকেরা পোকামাকড়দের হারিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছেন। দুই দশক ধরে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি প্রত্যন্ত সাবঅ্যালপাইন তৃণভূমিতে পোকামাকড়ের সংখ্যা ৭২ শতাংশ কমে যেতে দেখেছেন। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উড়ন্ত পোকামাকড়ের প্রাচুর্য পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পোকামাকড় কমে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউএনসি-চ্যাপেল হিলের সহযোগী অধ্যাপক কেইথ সকম্যান কলোরাডোর উচ্চ-উচ্চতায় থাকা তৃণভূমিতে ১৫টি ক্ষেত্রে পোকামাকড়ের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করেন। ৩৮ বছরের আবহাওয়ার রেকর্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তৃণভূমিতে আবহাওয়ার কারণে কমে যাচ্ছে পোকামাকড়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পোকামাকড়ের সংখ্যা বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যাচ্ছে। দুই দশক জুড়ে মোট ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পোকামাকড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার কারণে পোকামাকড়ের সংখ্যা কমছে। তৃণভূমিতে বৃষ্টির ধরনে বেশ পরিবর্তন আসার কারণেও প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আবাসস্থলের সংবেদনশীলতা ও স্থানীয় খাদ্য শৃঙ্খল ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে পোকামাকড়ের সংখ্যা কমছে।
পোকামাকড়ের সংখ্যা কমসংক্রান্ত অতীতে বিভিন্ন গবেষণা ছিল শহর বা মানুষের উপস্থিতিতে। এবারই প্রথমবারের মতো মানুষ অনুপস্থিত এমন এলাকায় গবেষণা করা হয়েছে। সাধারণভাবে পাহাড়ি বাস্তুতন্ত্রে অনেক বেশি প্রজাতি থাকে। সেখানে বিশাল অংশে পোকামাকড়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।