কালো ধোঁয়া নির্গমন করায় সাতটি বাস জব্দ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব বাস জব্দ করা হয়।

জব্দ বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েলকাম পরিবহন, ট্রান্সসিলভা পরিবহন, ভিআইপি পরিবহন, প্রজাপতি পরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরিবহন, গাবতলী এক্সপ্রেস ও রাজধানী পরিবহন। জব্দ এসব বাস ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে বলে বিআরটিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পুরোনো ফিটনেসবিহীন ও পরিবেশদূষণকারী যানবাহনের উচ্ছেদে গত ২১ জুলাই অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। এতে সহায়তা করছে পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামলে এই অভিযান কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। অবশ্য বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, ঢালাও না হলেও অধিক পুরোনো এবং কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন পেলেই জব্দ করা হচ্ছে।

বিআরটিএর হিসাবে, গত জুন পর্যন্ত সারা দেশে পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার ৩০৯টি। এর মধ্যে ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকারের সংখ্যা ৪১ হাজার ১৪০টি। মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৬৯টি।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০২৩ সালের ১৭ মে বাস-মিনিবাসের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করেছিল ২০ বছর। আর ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানসহ মালবাহী যানের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ বছর। তবে তৎকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে পিছু হটে। পুরোনো যানবাহন সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৬ জুন পুরোনো যানবাহনের বয়সসীমার আগের প্রজ্ঞাপনটি বহাল করে। পাশাপাশি এসব যান সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন ব আরট

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

ঝালকাঠির মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের ভৈরবপাশা এলাকায় এ বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় তারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। পরে মোটরসাইকেল করে চলে যান তারা। 

আরো পড়ুন:

আ.লীগের পক্ষে পোস্ট দেওয়ায় ফের ইবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোর্পদ

বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন: ছাত্রলীগকর্মী গ্রেপ্তার 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে ভৈরবপাশা এলাকায় বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এতে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। 

এদিকে, ঝালকাঠিতে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

ঝালকাঠি আদালত চত্ত্বর, ফায়ার সার্ভিস মোড়, কলেজ মোড়সহ শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টহল টিম রাত থেকেই তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে রাতে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করে পুলিশ। 

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেছেন, ঝালকাঠিতে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন, যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে।

ঢাকা/অলোক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ