জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রায় অভিন্ন দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ করার কথা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০ জেলায় একই কর্মসূচি করার কথা জানানো হয়েছে।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো—জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

পাঁচ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের চৌড়হাস মোড় থেকে মিছিল শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে তাঁরা সমাবেশ করেন। সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম। এতে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

এদিকে জেলার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দাবিতে বিকেলে কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টায় সৈয়দপুর স্মৃতি অম্লান চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল মুনতাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল। শুক্রবার বিকেলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ