শুধু অভিযান নয়, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা জরুরি
Published: 27th, September 2025 GMT
দেশের ছোট–বড় সব শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বললেই চলে। এর অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম হলো নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে হকারদের ফুটপাত দখল করে থাকা। হকার হটাতে অভিযান চালিয়েও লাভ হয় না। আবারও ফুটপাত চলে যায় তাঁদের দখলে। কিন্তু এসব হকার যাবেনই–বা কোথায়? বিকল্প কোনো উপায় তৈরি না করলে ফুটপাতই তো হকারদের ভরসা। একেকজন হকার মানে তো একেকটি পরিবার। কর্মসংস্থান সংকটের এ দেশে হকারদের কথা কে ভাবে? ফলে এখানে শুধু পথচারীদের দুর্ভোগ নয়, হকারদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের একটি সাম্প্রতিক অভিযান নগরের ফুটপাত ও সড়ক দখলের পুরোনো সমস্যার নতুন এক চিত্র তুলে ধরেছে। সিটি করপোরেশনের তৎপরতায় কান্দিরপাড়সহ আশপাশের এলাকা দখলমুক্ত হওয়ায় নগরবাসী হাঁটাচলায় স্বস্তি পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বস্তি মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। দিন শেষে নগরের শৃঙ্খলা ফিরে যায় তার ‘চিরচেনা দুর্ভোগের’ রূপে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, ফুটপাত দখলমুক্ত করাটা যতটা সহজ, দখলমুক্ত রাখাটা তার চেয়ে বহুগুণ কঠিন। এটি কেবল একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়; বরং অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীনতার ঘাটতিরও প্রকাশ ঘটে। এখানে একটি চক্র দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, যারা হকারদের থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে, তাদের স্বার্থও যুক্ত। ফলে হকার উচ্ছেদ করতে না পারার পেছনে এ চক্রেরও যোগসাজশ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু উচ্ছেদ অভিযান চালানোর মতো গতানুগতিক সমাধানই সব সময় খোঁজে কর্তৃপক্ষগুলো। হকারদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারলে তাঁরা তো ফুটপাতকেই বেছে নেবেন। উন্নত দেশেও হকারদের জন্য রাস্তার পাশে আলাদা জায়গা করা থাকে, ছুটির দিনে এলাকায় এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে সাপ্তাহিক মার্কেটও বসে। কেন হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হবে না? নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পুরো ব্যবস্থাপনাটা সিটি করপোরেশনই পরিচালনা করবে। কোন এলাকায় কয়জন হকার বসবেন, সেই সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। হকারদের কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। সিটি করপোরেশনকে সহনশীল একটি নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এতে চাঁদাবাজিও যেমন বন্ধ হবে, সিটি করপোরেশনেরও আয় হবে। হকারদের কর্মসংস্থানও থাকবে, ভোক্তারাও সহজে কম মূল্যে নানা জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।
বিকল্প কোনো ব্যবস্থা এবং একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব নয়, সেটি আমরা বহুবার দেখেছি। কারণ, এখানে হকার ও তাঁদের পরিবারের রুটিরুজির প্রশ্ন জড়িত। ফলে বাস্তবতার আলোকে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দখলম ক ত ফ টপ ত দ করপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের সমন্বিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জবি) নির্বাচনে ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ যৌথভাবে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামে সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এ প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
জকসু: ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন সেই খাদিজা, লড়তে পারেন জিএস পদে
ঘোষিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলে যুগ্ম আহ্বায়ক সদ্য পদ পাওয়া খাদিজাতুল কুবরা এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল মনোনীত হয়েছে।
প্যানেলে অন্যান্যদের মাঝে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে লড়বেন অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক পদে মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আনন বিন রহমান, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে লড়বেন রিয়াসাল রাকিব।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন- ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরেকজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী