স্ত্রী পালিয়েছেন প্রেমিকের সঙ্গে, বিয়ে করে নতুন বউ আনলেন হেলিকপ্টারে
Published: 27th, September 2025 GMT
স্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন; সঙ্গে নিয়ে গেছেন দুই সন্তান, ৯ ভরি স্বর্ণ আর নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ নিয়ে গ্রামে হাসিঠাট্টা, কটু কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কামাল হোসেন (৩৯)। তিনি নতুন করে সংসার গড়ছেন নূপুর আক্তারের সঙ্গে। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে নববধূকে এনেছেন হেলিকপ্টারে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামে এ দৃশ্য দেখা গেল।
কামালের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাঠাদিয়া গ্রামের কামাল পেশায় একজন বেসরকারি সার্ভেয়ার ও জমির ব্যবসায়ী। ১০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় সাথী আক্তারের (২৮) সঙ্গে। সংসারে দুটি মেয়ে—একজনের বয়স ৮, আরেকজনের ২। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ শহরের এক বিপণিবিতানে কর্মরত মুন্না নামের এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। গত ১০ আগস্ট সাথী সংসার ছেড়ে চলে যান। পরে কামালকে তালাক দেন।
কামালের দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান একই গ্রামের তরুণী নূপুর আক্তার (২৪)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে নববধূ নূপুর আসেন কামালের বাড়ি। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে গ্রামে ছিল উৎসবের আমেজ।
কামাল বলেন, ‘একটা সময় ভেবেছিলাম এ জীবন আর রাখব না। ঠিক সে সময় ভালোবাসা নিয়ে আমার জীবনে এসেছে নূপুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তাই আমি দ্বিতীয়বার বিয়েতে রাজি হই। প্রথম স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার আগে ভেবেছিলাম এবার বিবাহবার্ষিকীতে হেলিকপ্টারে করে ঘুরব। যেহেতু সে পালিয়ে গেছে, সব জেনেশুনে নূপুর বিয়েতে রাজি হয়েছে, তার ভালো মানসিকতাকে সম্মান দেখাতে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে এনেছি।’
বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছেন নতুন বউ। গতকাল শুক্রবার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে