সৎকার করতে গিয়ে নৌকাডুবি: একজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
Published: 27th, September 2025 GMT
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার প্রেমতলী এলাকায় আত্মীয়ের মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে নৌকাডুবিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
যিনি মারা গেছেন তার নাম জিতেন মণ্ডল (৬০)। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে। এছাড়া ফরাদপুর গ্রামের দীলিপ (৩২) ও ডুমুরিয়া গ্রামের হরেন সাহা (৬৫) নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অংশ নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রেমতলী পালপাড়া এলাকার কানাই কর্মকার (৭০) নামের এক বৃদ্ধ মারা যান। তার মরদেহ সমাহিত করার জন্য পদ্মা নদীর মাঝচরে নেওয়া হয়।
একটি নৌকা এই মরদেহটি চরে রেখে আরও আত্মীয়-স্বজনকে নিতে এ পারে আসে। সেসময় ২০-২৫ জন আত্মীয় নৌকায় উঠে নদী পার হয়ে মরদেহ সৎকারের জন্য যাচ্ছিলেন। তখনই স্রোতের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ ঘটনার পর বাকিরা সাঁতরে পারে উঠে এলেও তিনজন নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা জিতেন মণ্ডলকে উদ্ধার করে উপজেলা (প্রেমতলী) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ দুজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান জানান, নৌকাডুবিতে একজনের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত জানতে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র মতল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে