গাজীপুরের শ্রীপুরে জৈনা বাজার-কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কের মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত চৌধুরী ঘাট এলাকার বেইলি সেতুর পাঁচটি পাটাতন আবারও খুলে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি ভারী ট্রাক সেতু পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। ট্রাক যাওয়ার পরপরই তাঁরা পাটাতন খোলা দেখেন তাঁরা। এর আগে ২৫ বার এই সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারি মাসে একইভাবে পাটাতন খুলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পাটাতন খুলে যাওয়ায় সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার থেকে কাওরাইদসহ অন্যান্য এলাকায় যাতায়াতে যানবাহনগুলোকে অন্তত ২ কিলোমিটার বেশি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো.

সাইদুল হক বলেন, এর আগে কমপক্ষে ২৫ বার একই ঘটনা ঘটেছে। সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ায় কাওরাইদ অভিমুখী গাড়িগুলোকে সকাল থেকে বিকল্প সড়কে ধামলই হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বেইলি সেতুটি অনেক পুরোনো। এখানে একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মানা হয়নি। ফলে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল শেখ বলেন, আজ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক সেতু পার হচ্ছিল, তখনই সেতুর পাটাতন খুলে যায়। এখন হেঁটে পারাপার সম্ভব হলেও যানবাহন চলতে পারছে না।

কাওরাইদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ বলেন, ঘটনার পরপরই এলজিইডি অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

শ্রীপুর এলজিইডির উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ