আবার ভূমিকম্প, এবার উৎপত্তিস্থল যশোরের মনিরামপুর
Published: 27th, September 2025 GMT
সাত দিনের মাথায় দেশে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হলো আজ শনিবার বেলা ২টা ২৭ মিনিটে। রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মনিরামপুরেই।
এই নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয়বারের মধ্যে ভূমিকম্প অনুভূত হলো। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সাত দিনের মাথায় ২১ সেপ্টেম্বর আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে। সিলেট বিভাগের জেলা সুনামগঞ্জের ছাতকই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
আজ দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে অনুভূত হওয়া এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বরের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মাঝামাঝি। এটি মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার ভূমিকম্প ছিল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত র র ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। ভূমিকম্পে দেশটির সেবু দ্বীপে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এই শহরে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, শহরটিতে নিহত তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।
বোগো শহরের কাছে সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজন মারা গেছেন। সান রেমিগিও এলাকায় একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। এলাকাটির আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।
স্থানীয় উদ্ধার দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা জানেন না তিনি। রাতের আঁধার ও ভূমিকম্পের পর অনেকগুলো পরাঘাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা। এতে সেবু শহর এবং কাছাকাছি এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে বানতাইয়ান শহরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী মারথাম প্যাসিলান। তিনি বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জার কাছে ছিলেন তিনি। হঠাৎ গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান। দেখেন গির্জা থেকে পাথর ভেঙে পড়ছে।
তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আঘাত পাননি। মারথাম প্যাসিলান বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’