চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি: ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর
Published: 28th, September 2025 GMT
এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েনচিং একাডেমি স্কলারশিপ দেয়। ২০২৬ সালের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়নকৃত এই মাস্টার্স বৃত্তিতে সব দেশের শিক্ষার্থীদের চীনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার সুযোগ মিলবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বের ১৪তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগের পাশাপাশি চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ও গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো দেশের শিক্ষার্থীর জন্য কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
চীন এবং অন্যান্য দেশ থেকে মোট ১২০ জন নতুন শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। প্রতিবছর একাডেমিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশ ইউরোপ থেকে, ২৫-৩০ শতাংশ আমেরিকা ও কানাডা থেকে এবং ৩০-৩৫ শতাংশ অন্যান্য দেশ থেকে।
এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাই নয়, বরং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম, ইন্টার্নশিপ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ পাবেন।
থাইল্যান্ডে ফুল ফান্ডেড বৃত্তিতে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগপড়াশোনার ক্ষেত্রসমূহইয়েনচিং একাডেমিতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত ছয়টি বিষয়ে পরিচালিত হয়—
১.
২. আইন ও সমাজ
৩. দর্শন ও ধর্ম
৪. ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব
৫. সাহিত্য ও সংস্কৃতি
৬. রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়ার ইউএসটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, বৃত্তি ৩০০টি২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা—এই মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হবে:
১. বিশ্বের যেকোনো দেশের পুরুষ ও নারী শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২. আবেদনকারীর অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন থাকতে হবে অথবা বর্তমানে পড়াশোনা চলমান থাকলেও ২০২৬ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে স্নাতক শেষ করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর বয়স আবেদনকালে ২৯ বছরের নিচে হতে হবে।
৪. চীন এবং এর সংস্কৃতির প্রতি গভীর আগ্রহ থাকতে হবে।
৫. ভালো শিক্ষাগত ফলাফল থাকতে হবে।
৬. নেতৃত্ব, কমিউনিটি সার্ভিস ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রমাণ থাকতে হবে।
৭. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে এবং তা প্রমাণসাপেক্ষ হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এফ–১ ও এইচ–১বি ভিসা নীতি: শিক্ষার্থীদের সংকট আসলে কেমন হবেআবেদনকারীর বয়স আবেদনকালে ২৯ বছরের নিচে হতে হবেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত
২০২৬ সালে রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সম্ভাব্য তারিখের কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।
যদি রোজা ৩০ দিন পূর্ণ হয়, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছে; তবে আরব আমিরাতের সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে পবিত্র রমজানের ৩০তম দিনটি যুক্ত হবে। ফলে দেশটির বাসিন্দারা চার দিনের ছুটি পেতে পারেন—১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত। এরপর ২৩ মার্চ (সোমবার) আবার অফিস শুরু হবে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।পবিত্র ঈদুল ফিতর ইসলামিক বর্ষপঞ্জির অন্যতম বড় উৎসব। ঈদের নামাজ দিয়ে এদিনের সূচনা হয়। এরপর দেশে–বিদেশে পরিবার–পরিজন নিয়ে সময় কাটানো, দান–খয়রাত করা ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
যদি পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদদের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়, তবে প্রথম শাওয়াল, অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬ হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি, নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি গিয়ে।