চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শাহনাজ বেগম লাকি (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগম ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন। তিনি উপাদিক গ্রামের আমিনুল খানের স্ত্রী। 

আরো পড়ুন:

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ গ্রেপ্তার

বরিশালে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

আটক নারীর নাম নাছিমা বেগম (৪২)। তিনি সুদ কারবারি। তিনি একই গ্রামের হাফিজ মিয়ার স্ত্রী।

দগ্ধ শাহানাজ বেগমের স্বামী আমিনুল খান বলেন, ‍“ঋণের টাকার সুদ পরিশোধ ও স্ট্যাম্প দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাছিমা বেগমের সঙ্গে তাদের গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্ত্রীকে আগেও কয়েক দফা মারধর করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আমার স্ত্রীর পেছন দিক থেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।” 

তিনি বলেন, “আমিসহ অন্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি  ইন্সটিটিউটে পাঠান চিকিৎসক। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।” 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, এই নারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ইতোপূর্বে মানববন্ধন করেছেন। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আরো উগ্র হয়ে উঠেছেন। এ কারণে তিনি শাহানাজ বেগমের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। নাছিমা বেগমের মাধ্যমে এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হওয়ার খবর রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, “নাছিমা বেগম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অভ য গ ন জ ব গম ব গম র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ