অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা রিসোর্টে অভিযান, গ্রেপ্তার ১৮
Published: 28th, September 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় তরুণী মডেল অভিনেত্রীকে যে রিসোর্টে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলামের (ভূমি) নেতৃত্বে রিসোর্টে অভিযান চালান হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
শুটিংয়ের কথা বলে রিসোর্টে নিয়ে নাট্যকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
ওসি আব্দুল বারিক জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের রাস রিসোর্টে অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকে রিসোর্টটির ওপর গোয়েন্দা নজর রাখা হয়। অভিযানের সময় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় দুটি কক্ষ থেকে দুই তরুণীকে আটক করা হয়। তবে অভিযুক্ত পুরুষেরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার দমন আইনে মামলা হয়েছে। আর বাকি ১৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে, রিসোর্টকর্মী মিরাজ শিকদার (২৩), খায়রুল (২৩), মোছা.
২১ সেপ্টেম্বর রাস রিসোর্টে শুটিংয়ের কথা বলে এক অভিনেত্রীকে ডেকে নিয়ে পরিচালকসহ তিন তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে ওই অভিনেত্রী থানায় অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা/রফিক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের’ অভিযোগের তদন্তসহ ৯ দফা দাবি
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন ৪১ বিশিষ্ট নাগরিক।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান।
ওই বিবৃতিতে মারমা এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সহিংসতা ও গুলিবর্ষণে ৩ জন নিহত ও ৩০ জন আদিবাসী আহত হয়েছেন বলে জানান বিশিষ্ট নাগরিকেরা। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনেরও দাবি জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো বাহিনী আইনের শাসন ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে নয়। মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। দায়মুক্তির সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
নাগরিক সমাজের ৯ দফা দাবিগুলো হলো:১. খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভুক্তভোগী কিশোরী এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সহায়তা দিতে হবে।
২. সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং মদদের অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিরা যে বাহিনীর সদস্যই হোক না কেন, তাঁদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নিহত ও আহতদের পরিবারকে সুরক্ষা, যথার্থ ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পাহাড়ে দীর্ঘদিনের সামরিকীকরণ নীতি পর্যালোচনা করে শান্তিপূর্ণ, রাজনৈতিক সমাধানের পথে এগোতে হবে।
৬. পাহাড়ে বসবাসরত সব নাগরিকের জীবনের অধিকার, নিরাপত্তা ও সম্প্রীতিনির্ভর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর যেন কাঠামোগত নিপীড়ন চালানো না হয় এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা যেন আরও হয়রানি, গ্রেপ্তার ও আইনি নিপীড়নের শিকার না হয়—রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. পাহাড়ে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর দমন না হয় এবং জনগণ সত্য জানতে পারে।
৯. নারীদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনাগুলোর প্রতিকার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে সহিংসতায় প্রাণহানির কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করার দাবি আসকের২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আসিফ শাহান, মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, তাসনীম মাহবুব, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, মানজুর আল মতিন, কাজী জাহেদ ইকবাল, সাংবাদিক সায়দিয়া গুলরুখ, সংগীতশিল্পী বীথি ঘোষ, লেখক ফিরোজ আহমেদসহ ৪১ বিশিষ্ট নাগরিক এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি এইচআরএফবির২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫