রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মরদেহ সৎকার করতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পবা উপজেলার হরিপুর বেড়পাড়া গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীতে হরেন সাহা (৬৫) নামে একজনের লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে তা উদ্ধার করা হয়। বিকালে গোদাগাড়ী উপজেলার খারিজাগাতি সংলগ্ন নদী থেকে দিলীপ (৩২) নামে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।

দিলীপের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামে। আর হরেন সাহার বাড়ি ডুমুরিয়া গ্রামে। এর আগে, গতকাল সকালে জিতেন মণ্ডল (৬০) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। জিতেন মণ্ডল কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার প্রেমতলী এলাকার পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘‘শনিবার সকালে প্রায় ২০-২৫ জন ব্যক্তি একটি মরদেহ সৎকারের জন্য নৌকাযোগে পদ্মা নদী পার হচ্ছিলেন। নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তিনজন নিখোঁজ হন। পরে জিতেন মণ্ডলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার সকালে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় বেড়পাড়া এলাকা থেকে হরেন সাহার মরদেহ এবং বিকেলে খারিজাগাতি থেকে দীলিপের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ল শ উপজ ল র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।

দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।

আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।

স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ ঘণ্টা পর এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরেকজন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
  • গরুর গোবর কুড়ানো থেকে সাত তারকা হোটেলে, জয়দীপের গল্প জানেন কি
  • টর্চলাইট
  • স্বাস্থ্য খাতে আলাদা বেতনকাঠামো হোক
  • গাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
  • ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
  • ‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
  • ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯