কাতারে হামলার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
Published: 30th, September 2025 GMT
কাতারের রাজধানী দোহায় চালানো হামলায় দেশটির একজন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে ক্ষমা চান তিনি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। সেখান থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে যৌথভাবে ফোন করেন তাঁরা। ওই ফোনকলে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে—কাতারে হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন কাতারি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। জিম্মি নিয়ে আলোচনার সময় হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিষয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেন যে ভবিষ্যতে এমন ধরনের হামলা আর চালাবে না ইসরায়েল।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত একটি প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয় বলে দাবি ইসরায়েলের। হামলায় হামাসের অন্তত পাঁচ সদস্য ও কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান।
নেতানিয়াহুর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ‘ফোনকলের সময় হামলা ও কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিষয়ে ক্ষমা চান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ওই হামলায় কাতারি নাগরিক বদর আল-দোসারি শহীদ হন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডকে আবার লক্ষ্যবস্তু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে