বক্স অফিসে ‘ওজি’ সিনেমার দাপট: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
Published: 30th, September 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ। তাকে নিয়ে পরিচালক সুজিত নির্মাণ করেছেন ‘ওজি’ সিনেমা। এতে পবনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা মোহন। তাছাড়াও রয়েছেন—ইমরান হাশমি, প্রকাশ রাজের মতো তারকা অভিনেতারা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর, বিশ্বের সাড়ে ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে তেলেগু ভাষার ‘ওজি’ সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিনেই বক্স অফিসে বাজিমাত করে সিনেমাটি। তারপর সিনেমাটির আয় তুলনামূলক কমলেও তা মোটেও কম নয়। ৪ দিনে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ২৩২.
মানি কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, ‘ওজি’ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পবন কল্যাণ। চরিত্রটি রূপায়নের জন্য তেলেগু সিনেমার এ তারকা নিয়েছেন ১০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬ কোটি টাকার বেশি)। সিনেমাটির ‘অমি ভাউ’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমরান হাশমি। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র। এ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হলো এই সিরিয়াল কিসারের। চরিত্রটির জন্য ইমরান হাশমি নিয়েছেন ৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা)।
এ সিনেমায় পবন কল্যাণের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা মোহন। তার চরিত্রের নাম ডা. কানমনি। এ অভিনেত্রী পারিশ্রমিক নিয়েছেন ১.২ থেকে ২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি)। দক্ষিণী সিনেমার শক্তিশালী অভিনেতা প্রকাশ রাজ। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক পাওয়া মুশকিল। ‘ওজি’ সিনেমায় সত্যনারায়ণ রায় বা ‘সত্যদা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এজন্য পারিশ্রমিক নিয়েছেন ১.৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৫ লাখ টাকা)।
অভিনেতা অর্জুন দাস নিজ নামেই ‘ওজি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি রূপায়নের জন্য এ অভিনেতা নিয়েছেন ৪০ লাখ রুপি। সিনেমাটির পরিচালক সুজিত পারিশ্রমিক নিয়েছেন ৬-৮ কোটি রুপি।
ট্র্যাক টলিউডের তথ্য অনুসারে, ২০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ওজি’ সিনেমা। মুক্তির আগেই সিনেমাটি নিজাম এরিয়ার থিয়েট্রিক্যাল স্বত্ব ৬০ কোটি রুপির বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছে, অন্ধ্রর স্বত্ব প্রায় ৭০ কোটি রুপি এবং সিডেড রাইটস ২৫ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছে। মুক্তির আগেই সব মিলিয়ে সিনেমাটির আয় দাঁড়ায় ১৬০ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা)।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চর ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।