ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। এতে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আরো পড়ুন:

ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, ২৬ জনের মৃত্যু

৬.

২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ভেনেজুয়েলা

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে বোগো এলাকার কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর অব্যাহত আফটারশকের ঘটনা উদ্ধার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৬ শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।

সেবু প্রদেশের সিভিল ডিফেন্স অফিসের তথ্য জেন আবাপো বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। আমরা বহু হতাহতের খবর পাচ্ছি।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভূমিকম্পে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। 

বোগো এবং সেবু ছাড়াও একাধিক শহর ও পৌরসভায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে এসব শহরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর সেবু প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত, যার ফলে সেখানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। জানুয়ারিতে দেশটিতে দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল, যার মধ্যে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে, ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি উপকূলীয় ভূমিকম্পে আটজন নিহত হন।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ফ ল প ইন ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে

ঢাকার সাভার উপজেলার সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ায় বেরন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির অধিকাংশ আসন পুড়ে গেছে।

চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহন নামের মিনিবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর চারটার দিকে চালকের সহকারী বাসটি ধুয়েমুছে টয়লেটে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন বাসটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে গভীর রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, তাপে চালক জেগে ওঠায় রক্ষা১ ঘণ্টা আগে

চালক মো. পিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি রাতেই ওই এলাকায় গাড়ি রাখি। এরপর ভোর পাঁচটায় গাড়ি বাইর করি। কাইল রাইতে হেলপার বাস পরিষ্কার কইরা ওয়াশরুমে গেছে, এরপর আইসা দেখে আগুন জ্বলতাছে। তখন পৌনে পাঁচটার মতো বাজে। বাসের সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে।’

দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হলেও কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যিনি বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ