গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল, সেটিই আজ সত্য হয়েছে। বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। শুধু তামিম নন, সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর সাংবাদিকদের তামিম বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমিসহ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহারের কারণটা খুবই স্পষ্ট। আমার কাছে মনে হয় না বিস্তারিতভাবে আপনাদের কিছু বলার দরকার আছে। নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, এই জিনিসটা এখন পরিষ্কার। যখন যেমন মনে হচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলেই নির্বাচন নয়, ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’

তামিমসহ এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের ছেলে সাইদ ইবরাহিম, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছেলে মির্জা ইয়াসির আব্বাসসহ আরও কয়েকজন। তামিম দাবি করেছেন, অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীই নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। তামিমের ভাষায়, ‘যাঁরা নাম প্রত্যাহার করেছেন, তাঁরা সবাই হেভিওয়েট, তাঁদের ভোটব্যাংকও শক্তিশালী। এটা একটা প্রতিবাদ। দিন শেষে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। যাঁরা এভাবে নির্বাচন করতে চান, তাঁরা করতে পারেন। তবে আজ ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপনারা বড় গলায় বলেন বাংলাদেশের ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করার চিন্তা করেন। এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে থাকল।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্দিরা রোড ক্লাবের হয়ে পরিচালক পদে নির্বাচন করতে চাওয়া রফিকুল ইসলামও। তিনিও আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা শেষ পর্যন্ত কেন টেকেনি? রফিকুল বলেছেন, ‘আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চেয়েছিলাম। ২০০৫ সালে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দেখেছিলাম। আমরা তেমন একটা নির্বাচন চেয়েছিলাম। সমঝোতার কথাটা হাওয়ায় উড়ে বেরিয়েছে, কোনো সঠিক তথ্য ছিল না।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচন থেকে ১১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ক্যাটাগরি ১ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন মির হেলাল, ক্যাটাগরি ৩ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন সিরাজ উদ্দিন আলমগীর। ক্যাটাগরি ৩ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তামিম ইকবাল, সাইদ ইবরাহিম (বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে), ইসরাফিল খসরু (বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে), রফিকুল ইসলাম বাবু, বোরহানুল পাপ্পু, মাসুদুজ্জামান, আসিফ রব্বানি, মির্জা ইয়াসির আব্বাস (বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছেলে) ও সাব্বির আহমেদ রুবেল। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা আজ বেলা দুইটায় ঘোষণা করার কথা নির্বাচন কমিশনের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনেছেন নুসরাত তাবাসসুম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের জন্য তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করে নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘কুষ্টিয়া-১ আসনে দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছি। আমি একাই কিনেছি (মনোনয়নপত্র)। তাই সেখানে আমিই প্রার্থী হতে যাচ্ছি।’

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে মনোনয়নপত্র কেনার তিনটি ছবি পোস্ট করে নুসরাত তাবাসসুম লেখেন, ‘সকাল সকাল একটি খবর আপনাদের জানাই। আমি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে কুষ্টিয়া-১ আসনে শাপলা কলি মার্কার নমিনেশন নিয়েছি। গত সাত–আট বছর সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আমি, এর মধ্যে মাত্র এক বছর জাতীয় রাজনীতিতে।’

নুসরাত তাবাসসুম আরও লেখেন, ‘আমার অসংখ্য সীমাবদ্ধতা। তা সত্ত্বেও অনেক চিন্তাভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জানি আমি দেশকে, আমার জনপদকে কী দিতে পারব। শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া আর সমর্থন চাই। আমরা যারা এখানে এসেছিলাম একটা স্বপ্ন নিয়ে, আমরা যারা দিনের পর দিন রাস্তাকে ঘরবাড়ি বানিয়ে নিয়মিত মরে মরে টিকে গেছি, আমরা যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছি—সেই সব সহযোগী, সহমর্মী, সহযোদ্ধাদের কাছে দিকনির্দেশনা চাই। সবাই দোয়ায় রাখবেন আমার জন্য।’

কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপির তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। সেখানে আপনি নবীনÑএ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে নুসরাত তাবাসসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের প্রতি সম্মান এবং শুভকামনা রেখেই বলছি, তাঁরা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এলাকার জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, নতুন দিনের চেতনা এবং জুলাই বিপ্লবের যে চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছি, আমি আমার জনপদকে অনেক ভালো কিছু দিতে পারব। অবশ্য ভোটের মাঠের লড়াইটা জনগণের হাতে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে চাইছি। তারা কি আমাদের বর্ষীয়ান নেতা—বহু পুরোনো চিন্তাভাবনাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান, নাকি তরুণ মুখ খুঁজছেন—তা জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
  • জকসু নির্বাচন: স্বতন্ত্র থেকে ভিপি পদে মনোনয়ন নিলেন ছাত্রদল নেতা 
  • পঞ্চগড়-২: এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন শিশির আসাদ
  • আট দিনে এনসিপির ১ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি, লক্ষ্য ৩ হাজার
  • কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চান নুসরাত তাবাসসুম 
  • কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনেছেন নুসরাত তাবাসসুম