হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
Published: 15th, October 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। পরে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন বলে শায়রুল কবির জানান।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসার পর ২৫ জানুয়ারি তিনি তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। দেশে আসার পর নিজ বাসাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীন তাঁর চিকিৎসা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিড়িয়াখানায় কেমন আছে ‘ডেইজি’
জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহী ‘ডেইজি’ মূল খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়েছিল শুক্রবার বিকেলে। চিড়িয়াখানার কর্তব্যরত ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি করে একটি লোহার খাঁচা দিয়ে প্রাণীটির পথ আটকে দেন। তা না হলে দর্শনার্থীসহ অন্যদের বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।
গতকাল শনিবার মিরপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ডেইজির মূল খাঁচার দরজার বাইরে দর্শনার্থী যাতে খাঁচার একদম কাছে যেতে না পারে, সে জন্য লোহার গ্রিলের ব্যারিকেড দেওয়া। তারপর বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা। ডেইজি এ ফাঁকা জায়গায় চলে এসেছিল।
সিংহী বের হয়ে সেখানকার পানির পাম্পের পাশে হরিণের খাঁচার কাছে বসে। হরিণের দল ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন জুনিয়র অফিসার মো. ওবায়দুল বারী খান। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা নতুন করে বেড়া লাগিয়েছেন। তাঁদের কোনো ঝুঁকিভাতা নেই বলে জানান ওবায়দুল বারী।
গতকাল ডেইজির শারীরিক ও মানসিক ধকলের কথা চিন্তা করে ডেইজিকে মূল খাঁচার ভেতরের নির্দিষ্ট কক্ষ থেকে বের করা হয়নি। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীদের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পরিচালক বললেন, এমনিতে অন্য দিনের মতোই ডেইজি খাওয়াদাওয়া করছে। তবে পায়চারি করছে ঘনঘন।শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়ে সিংহীটি। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পৌনে দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘ট্রাঙ্কুলাইজারগান’ দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে সিংহীটিকে অচেতন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেটিকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।
সিংহী ‘ডেইজি’ খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার পরদিন খাঁচার বেষ্টনী আরও মজবুত করার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা।