রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসংলগ্ন পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে মঙ্গলবার সকালে ১৪ কেজি ওজনের বিলুপ্তপ্রায় একটি ঢাঁই মাছ ধরা পড়েছে। গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটের আড়তের এক ব্যবসায়ী মাছটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে জাল ও নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে বের হন মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে সোনাই হালদার ও তাঁর দল। কয়েকবার জাল ফেলে মাছ পাননি তাঁরা। সকাল নয়টার দিকে জাল গোটানোর সময় দেখতে পান, বড় আকারের বিলুপ্তপ্রায় ঢাঁই মাছটি জালে আটকে আছে। পরে বিক্রির জন্য মাছটি নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এ সময় একটি আড়তে তোলা হলে নিলামে মাছটি কিনে নেন ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।

চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি ওজন দিয়ে দেখেন, প্রায় ১৪ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়েছে। পরে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন। মাছটি কেনার পর নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার পাশাপাশি পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এখন কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে লাভ হলে তিনি বিক্রি করবেন বলে জানান।

এর আগে গত সোমবার সকালে পদ্মায় প্রায় ১১ কেজি ওজনের একটি ঢাঁই মাছ ধরা পড়ে যা বিক্রি হয় ৪৬ হাজার টাকায়। ১১ সেপ্টেম্বর ২২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি ঢাঁই মাছ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকায়।

আরও পড়ুনপদ্মার এক ঢাঁই মাছ ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওজন র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী

কেন হয়

শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ 

ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।

সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া। 

অ্যানাফাইলেকসিস শক। 

আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয় 

শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়। 

চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।

চিকিৎসা

ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া। 

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।

● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।

অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ