আসুন, ক্ষমতাপ্রেমিকদের বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করি: চরমোনাই পীর
Published: 13th, November 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘এ দেশে আমরা ক্ষমতাপ্রেমিক দেখেছি, দেশপ্রেমিক দেখি নাই। আসুন, আমরা সকলে মিলে ক্ষমতাপ্রেমিকদের বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব জেবি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখা আয়োজিত তৃণমূল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি, কিন্তু আমরা ইসলামি আদর্শের শাসন এখনো দেখি নাই। ৫ আগস্টের পর দেশে ইসলামি শক্তির উত্থান হয়েছে। এটাকে কাজে লাগাতে না পারলে আমাদের জন্য মুসিবত অপেক্ষা করছে। মানুষের জানমাল ও ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হাজার হাজার মা–বোন সন্তানহারা হয়েছে। আয়নাঘর হয়েছে। সেখানে অসংখ্য মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। খুন-গুম হয়েছে—যা ইতিহাসে বিরল। তাদের পরিচয় আমরা পেয়েছি। চাঁদাবাজের জন্য, লুটতরাজের জন্য, মাঠ দখলের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয় নাই।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনসার আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মানসুর আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও সহসভাপতি মাওলানা আফসার উদ্দিন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভিসা–জটিলতায় কপ৩০ সম্মেলনে যেতে পারল না নওশীন ও নুর
ভিসা–জটিলতার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় শিশুদের প্রতিনিধি হিসেবে সাতক্ষীরার দুই শিক্ষার্থী ব্রাজিলে জাতিসংঘের জলবায়ু-সংক্রান্ত ৩০তম সম্মেলন বা কপ৩০ সম্মেলনে অংশ নিতে পারছে না। গতকাল সোমবার রাত একটায় এমিরেটস এয়ারলাইনসে নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদের ব্রাজিলে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
দুই শিক্ষার্থীর এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ এসেছিল বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘের (জেজেএস) ‘স্ট্রেংদেনিং চিলড্রেনস ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ ইন অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক নবকুমার সাহা জানান, জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থী ব্রাজিলে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে কর্মরত ব্রজিলের দূতাবাসে ভিসার জন্য অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবেদন করে। দূতাবাস থেকে গত ৩০ অক্টোবর প্রথম দফায় সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে আবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্রাজিল থেকে অনুমোদন না আসায় আপাতত ভিসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে দুই শিক্ষার্থী যোগ দিতে পারছে না।
ব্রাজিলের আমাজনের শহর বেলেমে বসছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন (কপ৩০)। সম্মেলনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত পৃথিবীকে রক্ষার নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ১৫০টি দেশের ১২ হাজারের বেশি প্রতিনিধি। বিশাল ওই আয়োজনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সাতক্ষীরার দুই শিক্ষার্থী নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদের। বাংলাদেশ থেকে শিশু প্রতিনিধি হিসেবে তাদের এই যাত্রা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বাস্তবতা তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। নওশীন ইসলাম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও প্রতাপনগর ইউনাইটেড বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নুর আহমদ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা ও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
ব্রাজিলে বিশ্ব জলাবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে না পারায় নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদ জানায়, এ ঘটনায় তারা হতাশ। তারা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারল না। জানাতে পারল না কীভাবে তারা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে বেঁচে আছে।