তিন দাবি পূরণে শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকাল ৪টায় এই পদযাত্রা শুরু হয়। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত গুলিস্তান পৌঁছে গেছেন তারা।

এর আগে এদিন অনশনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন দুপুর দেড়টার মধ্যে মন্ত্রণালয় ও সেনা কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে না বসলে সচিবালয় ঘেরাও করবেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখার সভাপতি এ কে এম রাকিব।

ঘোষণায় তিনি বলেন, আমরা একটি আল্টিমেটাম দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যদি মন্ত্রণালয় ইউজিসি ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে না বসে, তবে সচিবালয় ঘেরাও হবে। দেড়টার মধ্যে যদি কোনো সমাধান না হয় তবে দেড়টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে যাত্রা শুরু হবে। এ সময় তিনি সকল শিক্ষার্থীকে আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। 

এর আগে গতকাল রোববার তিন দফা আন্দোলনে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা এবং অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিভিন্ন দাবি নিয়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম না’গঞ্জ মহানগরের মানববন্ধন

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, নিঃশর্ত বদলী, অবসর ও কল্যাণ ভাতা দ্রুত প্রদান, বৃত্তি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অংগশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও ধমশিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, কওমি সনদে সরকারি চাকুরি এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি আলতাফ হোসেন গাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মহানগরের উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ। 

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জাতীয় ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ সভাপতি আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আল মাহাতাব প্রমুখ

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার যে পরিস্থিতি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুসলমান হয়েও হিন্দুদের ধর্ম বিষয় জানতে হবে। মুসলমানদের ধর্মী বিষয় থাকা না থাকার কোনো বিষয় ছিলো না। কিন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয় জানতে হবে এমন একটি বিষয় ছিলো।

বিগত সময় বাংলাদেশে যে কঠিন পরিস্থিতি গেছে এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনের জন্য বর্তমান সরকার কাছে দাবি জানাই শিক্ষাব্যস্থাকে উন্নত করার জন্য বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে হবে।

বক্তারা আরও বলেন , ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন হবার ৫৪ বছরে যে সকরার কায়েম হয়েছে। প্রত্যেকটি সরকারে ধারা এই দেশের  মানুষের সাথে বৈষম্য শিকার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকরা হচ্ছে জাতিগড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। কিন্তু কাক্ষিত ফল শিক্ষকরা পায় নাই। 

এই মানববন্ধনে থেকে আমাদের দাবি হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় করণ করা এবং সকারি ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলো যেভাবে বদলি হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তার সাথে আরো দাবি জানাই অবসর ভাতা দ্রুত যাতে পেতে পারে তার দাবি জানাই। বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় সকল ধর্মের ব্যবস্থা করতে হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ