Risingbd:
2025-04-30@21:26:57 GMT

রংপুরের ‘ওয়েক আপ কল’

Published: 23rd, January 2025 GMT

রংপুরের ‘ওয়েক আপ কল’

টানা আট জয়ে রীতিমত উড়ছিল রংপুর রাইডার্স। দুর্বার রাজশাহী বাদে বিপিএলে অংশগ্রহণ করা বাকি পাঁচ দলকেই তারা হারিয়েছিল। সেই রাজশাহীতেই তাদের জয়ের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল।

বিপিএলের ৩১তম ম্যাচে দুই দল প্রথমবার মুখোমুখি হলো। যে ম্যাচে রাজশাহী ২৪ রানে হারিয়েছে রংপুরকে। টানা আট জয়ের পর রাজশাহীর বিপক্ষে এই পরাজয়কে রংপুর দেখছে ‘ওয়েক আপ কল’ হিসেবে।

প্লে’অফ নিশ্চিত হলেও রংপুরের লক্ষ্য শীর্ষ দুইয়ে থাকা। সেই লক্ষ্য নিশ্চিতে সামনে জয়ের ফেরার মিশন বিপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান।

আরো পড়ুন:

‘পদ্মার জলে’ ডুবলো রংপুর

সাব্বির-ইয়াসিরের শৈলীকে পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ রাজশাহী

পরাজয়ের ব্যাখ্যায় সোহান বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ অবশ্যই (ওয়েক আপ কল)। আজকের আগ পর্যন্ত আমরা টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি। অবশ্যই এটা এলার্মিং বিষয় আমাদের দলের জন্য। সবাই সবার জায়গা থেকে অবশ্যই চিন্তা করতে পারবে।’’

‘‘ক্রিকেট জিনিসটাই এমন, ভালো খেলেই জিততে হবে। এমন নয় যে, আপনি এলেন আর জিতলেন। এটা আশা করা ঠিক নয়। যেদিন ভালো ক্রিকেট খেলবেন, নির্দিষ্ট ওই দিনেই জিতবেন।’’

ভুলগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় সোহানের, ‘‘অবশ্যই সবাই এখন চিন্তা করবে জিনিসটা যে, আমরা কোন জায়গায় ভুলগুলো করেছি। এখান থেকে আরও কীভাবে শক্তিশালী হয়ে ফেরা যায়, এটা নিয়ে সবাই কাজ করবে।’’

অ্যালেক্স হেলস বিদায় নেওয়ার পর ওপেনিং পজিশনে থিতু হতে পারেনি রংপুর। আজ তাদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন ইরফান শুক্কুর। প্রথমবার সুযোগ পাওয়া ইরফান খুলতে পারেননি রানের খাতা। সোহান অপেক্ষায় পুরোপুরি ফিট সৌম্য সরকারের, ‘‘আমরা আমাদের শক্তিশালী দলটা নিয়েই খেলব। হয়তো সমন্বয়ের কারণে এটা (ইরফান শুক্কুর) করা হয়েছে। যেহেতু সৌম্যর খেলার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সৌম্য খেলতে পারেনি। ওই জায়গা থেকেই এই জিনিসটা করা।’’

সিলেটে ও ঢাকায় বাউন্ডারির সীমানা ছোট থাকায় প্রচুর চার ছক্কা হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রামে খেলা হয়েছে আদর্শ ক্রিকেট মাঠের সীমানায়। তাতে রানের স্রোত কমেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন রংপুরের অধিনায়ক, ‘‘আমার মনে হয়, বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য অবশ্যই আদর্শ মাপে থাকা উচিত। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, হাই স্কোরিং খেলা, সীমানায় আউট হওয়ার ঝুঁকিটা বেশিই থাকবে।’’

রংপুরের হয়ে বরিশালের বিপক্ষে ৩০ রান তুলে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছিলেন সোহান। আজও তার সুযোগ ছিল ইনিংস শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু রায়ান বার্লের বল উড়াতে গিয়ে সীমানা ধরা পড়েন। ২৬ বলে ৪১ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়।

সামনে আরও ভালো করে দলের জয়ে অবদান রাখার কথা বললেন সোহান,  ‘‘সবসময় দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। হয়তো এখন ভালো যাচ্ছে। চেষ্টা করব, এই জিনিসটা যেন টুর্নামেন্ট জুড়ে করে যেতে পারি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমি সবসময় বলি, রান করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন রানটা দলে প্রভাব ফেলছে, জয়ে সহায়তা করছে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই সবসময় এটি চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচগুলোতে আরও উন্নতি করে ভালো করার চেষ্টা করব।’’

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া